প্রতিশ্রুতির চাইতে অনেক কম ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল
Published: 21st, October 2025 GMT
যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসরায়েল সেই পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে না। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস টেলিগ্রামে পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে মাত্র ৯৮৬টি ত্রাণ ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ছয় হাজার ৬০০ ট্রাক পৌঁছানোর কথা ছিল।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মানবিক কনভয়গুলোতে ১৪ টি রান্নার গ্যাস ভর্তি ট্রাক এবং ২৮টি ট্রাকে বেকারি, জেনারেটর, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত পরিচালনার জন্য নির্ধারিত সরঞ্জাম ছিল। কারণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার ফলে জনসংখ্যার দৈনন্দিন জীবনের জন্য সরাসরি নির্ভরশীল এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলির তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
মিডিয়া অফিস বলেছে, “আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন গাজা উপত্যকায় প্রবেশকারী ট্রাকের গড় সংখ্যা (৬০০) ট্রাকের মধ্যে (৮৯)টির বেশি নয়, যা গাজার ২৪ লাখেরও বেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের পরিচালিত শ্বাসরোধ, অনাহার এবং মানবিক ব্ল্যাকমেইলের অব্যাহত নীতি প্রতিফলিত করে।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ খুব কমই সাহায্য পেয়েছে। যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল ত্রাণের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে গাজার বিশাল অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে গাজায় মানবিক সাহায্য বৃদ্ধির বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘অত্যন্ত জরুরি’ বিষয় হিসেবে গাজায় ত্রাণ রুটগুলো পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের ইউরোপীয়, আরব এবং মার্কিন অংশীদারদের সাথে অবিলম্বে মানবিক স্থান এবং রুটগুলো পুনরায় চালু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই -এবং এটি অত্যন্ত জরুরি - যাতে জনগণের কাছে সাহায্য, খাদ্য এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া যায়।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব শ ম নব ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ ভিন্ন সুরে কথা বলছে: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যাঁরা এত দিন নির্বাচন নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে তুলেছিলেন, এখন তাঁরা কেউ কেউ ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁরা যে সমস্ত কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁদের আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।’
আজ শনিবার সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একদল চাঁদাবাজির কারণে জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে, আরেক দল আবার তার চেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে। একদল দখলদার বনতে গিয়ে জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, আরেক দল বেপরোয়া দখলদার হয়ে উঠেছে। একদল জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, আরেক দল একই পথ ধরেছে, এমনকি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে।’
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে গণভোট করাসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান