এলডিসি থেকে উত্তরণে এগিয়ে বাংলাদেশ, মানবসম্পদে পিছিয়ে
Published: 6th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। জাতিসংঘের নির্ধারিত তিনটি সূচক-মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে দীর্ঘদিন ধরে মান পূরণ করে আসছে বাংলাদেশ। তবে মানবসম্পদ সূচকে কিছুটা অবনতি হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের হিসাবে মানবসম্পদ সূচকে দেশের অর্জন ৭৭ দশমিক ১ পয়েন্ট, যা আগের বছরের ৭৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট থেকে কমেছে। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন থেমে যাওয়ায় এই সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এলডিসি উত্তরণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ৬৬ পয়েন্টের চেয়ে এখনও অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ।
মাথাপিছু আয় সূচকে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে আছে। ২০২৫ সালের হিসাবে তিন বছরের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৪ মার্কিন ডলার, যেখানে মানদণ্ড ১ হাজার ৩০৬ ডলার মাত্র। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকেও সামান্য উন্নতি হয়েছে-২০২৪ সালে যেখানে পয়েন্ট ছিল ২১ দশমিক ৯, সেখানে ২০২৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮। এই সূচকে ৩২ বা তার নিচে থাকাই উত্তরণের শর্ত।
জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি-নির্ধারণী কমিটি প্রতি তিন বছর পরপর এলডিসি তালিকার দেশগুলোকে মূল্যায়ন করে এবং যোগ্য দেশগুলোর জন্য উত্তরণের সুপারিশ করে। বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালের দুটি মূল্যায়নেই তিনটি সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায় এবং ২০২৪ সালে উত্তরণের কথা থাকলেও, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সময় পিছিয়ে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা তৈরি হবে। তবে এর সঙ্গে কিছু বিশেষ সুবিধা হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, যেগুলো এলডিসি দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো দিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্বে ৪৪টি স্বল্পোন্নত দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ যদি নির্ধারিত সময়মতো উত্তরণে সফল হয়, তবে এটি হবে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তিনটি সূচকেই পূর্ণ মান অর্জনের মাধ্যমে এলডিসি তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দশম ক এলড স
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে চলে আসা কোচের জায়গা নিলেন ব্রাভো
ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) গত আসরে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচ ছিলেন ফিল সিমন্স। তবে গত বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। আগামী মৌসুমের জন্য তাঁর জায়গায় ডোয়াইন ব্রাভোকে দায়িত্ব দিয়েছে ট্রিনবাগো।
নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সিমন্সের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন ব্রাভো। বলেছেন, ‘ট্রিনবাগো আমার হৃদয়ের খুব কাছে থাকা একটি দল, এমন একটা দলের প্রধান কোচ হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। ফিল সিমন্স গত কয়েক বছর এই দলে যেভাবে কাজ করেছেন, সে জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এখন নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে আছি।’
ট্রিনবাগোর হয়ে সিপিএলে লম্বা সময় খেলোয়াড়ও ছিলেন ব্রাভো। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১টি আসরে খেলে পাঁচবার শিরোপা জিতেছেন তিনি। এর মধ্যে ৯ বারই মাঠে নেমেছেন ট্রিনবাগোর হয়ে।
২০২২ সালে আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই কোচিং শুরু করেন ব্রাভো। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। আইপিএলের গত আসরে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর। আইএল টি–টোয়েন্টিতে একই ফ্র্যাঞ্চাইজির দল আবুধাবি নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন।
এর মধ্যে জাতীয় দলেও কাজ করেছেন ব্রাভো। ২০২৪ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বোলিং পরামর্শক ছিলেন। এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল আফগানরা।
আগামী ২৪ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এবারের সিপিএল। গত আসরে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে ছিল ট্রিনবাগো। পরে এলিমেনটরে তারা হেরে যায় বার্বাডোজ রয়্যালসের কাছে।