বাজেট বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 6th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইউসিজি কর্তৃক বাজেট বৈষম্যের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বৃদ্ধিসহ চার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় "বৈষম্যের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে"; "জবিয়ানদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন"; "জবি নিয়ে বৈষম্য, মানি না মানবো না"; "বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও" এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো-
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড.
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট, ক্লাসরুমের সংকট। যা শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা থেকেই বাৎসরিক বাজেটে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় যদি চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলুক, অন্যথায় চিরতরে বন্ধ হয়ে যাক।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার ইউজিসি চেয়ারম্যান পদে বসতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ত্যাগ রয়েছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি মেনে নিন।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের পরের মাসে প্রবাসী আয় কমেছে, এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার
পবিত্র রমজান ও ঈদের পর দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসা কমেছে। এরপরও সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিলে আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে প্রবাসী আয়ের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে আয় এসেছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল সময়ে আয় এসেছিল ১ হাজার ৯১১ কোটি ডলার।
রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত মার্চ মাসে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চ মাসে প্রবাসীরা ৩২৯ কোটি ডলার পাঠান, যা একক মাস হিসেবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। গত বছরের মার্চে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার। আগের বছরের মার্চের তুলনায় এবার একই মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় ৬৪ শতাংশ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার।
ফলে মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ব্যাংকাররা বলছেন, মূলত অর্থ পাচার কমে আসায় প্রবাসীরা এখন তাঁদের আয় পাঠাতে বৈধ পথকেই বেছে নিচ্ছেন।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা ছিল, তা-ও কিছুটা কমে এসেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাসী আয় কিনছে। এদিকে খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে।
দেশে গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টানা ৭ মাস ধরে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা পাঠান ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে জানুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় ৩ শতাংশ বেশি আসে।
প্রবাসী আয় হলো দেশে মার্কিন ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না বা কোনো দায় পরিশোধ করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। আবার বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। সার্বিকভাবে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ বা মজুত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।