জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইউসিজি কর্তৃক বাজেট বৈষম্যের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বৃদ্ধিসহ চার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় "বৈষম্যের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে"; "জবিয়ানদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন"; "জবি নিয়ে বৈষম্য, মানি না মানবো না"; "বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও" এসব স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো-
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড.

হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ।আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট, ক্লাসরুমের সংকট। যা শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা থেকেই বাৎসরিক বাজেটে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় যদি চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলুক, অন্যথায় চিরতরে বন্ধ হয়ে যাক।

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার ইউজিসি চেয়ারম্যান পদে বসতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ত্যাগ রয়েছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি মেনে নিন।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যারিকো বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

পুঁজিবাজারের ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের রেটিং অনুযায়ী, ম্যারিকো বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়ে ‘এএএ’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-১’।

কোম্পানির ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং  অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা
  • পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে নতুন কোয়াসি চাঁদের সন্ধান
  • কলেজে শিক্ষা কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
  • সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫–২৬–এ সম্মাননা পেল দেশের ৪৯টি শীর্ষ ব্র্যান্ড
  • অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল নেদারল্যান্ডস, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
  • দুই পদে নিয়োগ ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে, সর্বনিম্ন বেতন ২ লাখ
  • ম্যারিকো বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
  • রূপগঞ্জ থেকে ছিনতাই হওয়া ব্লগার জিসানের মোটরসাইকেল গাজিপুরে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ 
  • বরাদ্দ ২১৮২ কোটি টাকা, দুই মাসে খরচ ‘শূন্য’