প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপির অবস্থান
Published: 8th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তার সঙ্গে সেখানে আরও অনেকে যোগ দিয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় প্রধানের বাসভবনে ‘জেনারেল পার্টি’র কার্যালয়, সাইনবোর্ড-আসবাব কিছুই নেই
‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ (বিজিপি) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলটির দাপ্তরিক কার্যালয় হিসেবে দেখানো হয়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলা। তবে সরেজমিনে সেখানে দলীয় কার্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হক ভিলার পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লোরজুড়ে ইটের স্তূপ ও নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেখানে দরজা-জানালাবিহীন দুটি ঘর রয়েছে, যেগুলোর মেঝেতেও ইট ও খোয়ার স্তূপ। কোনো আসবাব নেই, নেই কোনো দলীয় চিহ্ন বা সাইনবোর্ড।
ভবনের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ওই ভবনে বা মহল্লায় রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম কখনো লক্ষ করেননি তাঁরা। অনেকেই ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ নামের কোনো দল সম্পর্কে জানেন না বলেও জানান।
হক ভিলাসংলগ্ন বাসিন্দা ও নবাবগঞ্জ কারিগরি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি নামে কোনো রাজনৈতিক দল আছে বা তাদের কোনো কার্যক্রম হয় বলে আমার জানা নেই।’
দলটির শীর্ষ পদের নাম ‘জেনারেল চেয়ারম্যান’। ওই পদে আছেন হক ভিলার মালিক রেজাউল হক। তিনি পেশায় আইনজীবী। সাধারণত দিনে দিনাজপুর আদালতে থাকেন এবং সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হক ভিলায় গিয়ে জানা যায়, রেজাউল হক ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভবনের তৃতীয় তলায় নির্মাণকাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান বলেন, গত ছয় মাসে ভবনের পঞ্চম তলায় কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা কার্যক্রম হতে দেখেননি।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলায় ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’র কার্যালয় আছে বলে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও সরেজমিনে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি