বিপর্যয় থেকে রাব্বি-নাসুমের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি
Published: 10th, May 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে বিপর্যয়ে পড়ে নুরুল হাসান সোহানের দল। সেখান থেকে ইয়াসির আলী রাব্বি ও নাসুম আহমেদের ফিফটিতে ২২৭ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
শনিবার সিলেট একাডেমি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়কে হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তারা যথাক্রমে ৪ ও ২ রান করেন। মিডলে ছোট্ট একটা জুটি হলেও ১০৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে স্বাগতিক দলের।
তিনে নামা সাইফ হাসান ৩১ রান করেন। তবে পাঁচে নেমে আফিফ হোসেন ১ ও নুরুল হাসান ১২ রান যোগ করেন। মোসাদ্দেক হোসেন ৪ রান যোগ করে ফিরে যান। পরে রাব্বির সঙ্গে জুটি গড়েন নাসুম। মাহিদুল অঙ্কনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া রাব্বি ৬৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।
শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসুম আহমেদ ৪৭.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাফাসিয়া: হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়া
অ্যাফাসিয়া (Aphasia) বা হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্নায়বিক সমস্যা, যার কারণ মস্তিষ্কের ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। সাধারণত স্ট্রোক, আঘাত বা অন্য কোনো স্নায়বিক রোগের কারণে এমনটা হতে পারে। সমস্যাটি মানুষের কথা বলার ক্ষমতা, লেখার ক্ষমতা ও ভাষা বোঝার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
অ্যাফাসিয়ার কারণস্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা রক্তক্ষরণ হলে অর্থাৎ স্ট্রোক করার পর ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মাথায় আঘাত: গুরুতর আঘাতের ফলে মস্তিষ্কের ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগ: কিছু স্নায়বিক রোগ, যেমন ডিমেনশিয়া, আলঝেইমার বা মস্তিষ্কের টিউমারের কারণেও অ্যাফাসিয়া হতে পারে।
অ্যাফাসিয়ার লক্ষণঅ্যাফাসিয়ার লক্ষণগুলো হলো—কথা বলার সময় শব্দ খুঁজে না পাওয়া বা ভুল শব্দ ব্যবহার করা, বাক্যের গঠন বা শব্দবিন্যাসে সমস্যা, অন্য কেউ কথা বললে বুঝতে অসুবিধা হওয়া, লেখা বা পড়ার সমস্যা, কথা বলার সময় শব্দ বা বাক্য ভুলভাবে উচ্চারণ করা, কথা বলার আগ্রহ কমে যাওয়া বা কথা বলতে না পারা।
অ্যাফাসিয়ার চিকিৎসাঅ্যাফাসিয়ার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে কিছু থেরাপির মাধ্যমে এর প্রভাব কমাতে এবং কথা বলার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। স্পিচ থেরাপিস্টরা অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কথা বলা, ভাষা বোঝা ও লেখার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করেন।
কিছু পরামর্শঅ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের প্রতি ধৈর্য ও সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাঁদের কথা বুঝতে অসুবিধা হলে সহজ শব্দ ব্যবহার করুন এবং ধীরে ধীরে কথা বলুন। কথা বলার সময় তাঁদের সাহায্য করুন। যেমন ছবি বা অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করা। অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ সহায়তা দরকার হতে পারে।
অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়