নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে বিপর্যয়ে পড়ে নুরুল হাসান সোহানের দল। সেখান থেকে ইয়াসির আলী রাব্বি ও নাসুম আহমেদের ফিফটিতে ২২৭ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। 

শনিবার সিলেট একাডেমি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়কে হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তারা যথাক্রমে ৪ ও ২ রান করেন। মিডলে ছোট্ট একটা জুটি হলেও ১০৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে স্বাগতিক দলের। 

তিনে নামা সাইফ হাসান ৩১ রান করেন। তবে পাঁচে নেমে আফিফ হোসেন ১ ও নুরুল হাসান ১২ রান যোগ করেন। মোসাদ্দেক হোসেন ৪ রান যোগ করে ফিরে যান। পরে রাব্বির সঙ্গে জুটি গড়েন নাসুম। মাহিদুল অঙ্কনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া রাব্বি ৬৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।

শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসুম আহমেদ ৪৭.

৩ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৬৭ রান যোগ করেন। বাঁ-হাতি এই স্পিনার নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২২ বছর বয়সী কিউই ক্রিকেটার আদি অশোক। তিনি ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। বেন লিস্টার, জাইডেন লিনক্স ও ডিন ফক্সক্রফট দুটি করে উইকেট নেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ