পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের জার্সিতে অভিষেক হয়ে গেছে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের। মঙ্গলবার জাপান অনূর্ধ্ব-১৫ দলের বিপক্ষে তার অভিষেকে ৪-১ গোলে জিতেছে পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দল। তবে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র কোন গোল করতে পারেনি। 

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলের অভিষেক ম্যাচে আলো কেড়েছে রদ্রিগো কাবরাল। সে ম্যাচের ৪৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেয়। ৭৩ মিনিটে ৪-০ গোলের লিড নেয় পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দল। ৮২ মিনিটে জাপানের কিশোররা এক গোল শোধ করে। 

বিশ্ব ফুটবলে নাম্বার সেভেন জার্সিকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বাবার মতো ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রও একাডেমিতে নাম্বার সেভেন পরে। দেশের হয়ে অভিষেকেও সাত নম্বার জার্সি পরার সুযোগ পায় সে। তবে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি তার। বদলি হয়ে ৫৩ মিনিটে মাঠে নামে। 

ছেলের অভিষেক অবশ্য মাঠে থাকা হয়নি রোনালদোর। তবে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের দাদি অর্থাৎ রোনালদোর মা মারিয়া দোলোরেস মাঠে উপস্থিত ছিলেন।  

ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের বয়স ১৪ বছর। আল নাসরের একাডেমিতে খেলে সে। বয়সের তুলনায় দারুণ উচ্চতা তার। ফিটনেসও চোখে পড়ার মতো। খেলে ফরোয়ার্ড লাইনে। রোনালদো জুনিয়রের স্পেন, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার সুযোগ আছে। তবে সে পর্তুগালকে বেছে নিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ত গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ