রোটারি ইন্টারন্যাশনালের দেবে ১৩০ ফেলোশিপ, টিউশন ফি মওকুফ, আছে ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ
Published: 14th, May 2025 GMT
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসায়িক ও পেশাদার ব্যক্তিদের একটি সংগঠন। বৈশ্বিক সেবামূলক সংগঠনটির যাত্রা শুরু ১৯০৫ সালে। প্রত্যেক ব্যবসায়িক ও পেশাদার ক্লাব থেকে একজন ব্যক্তি রোটারি ক্লাবের সদস্য হয়ে থাকেন। প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি, ব্যবসায় ও পেশাদারি পর্যায়ে মূল্যবোধ গঠন এবং বিশ্বব্যাপী ফেলোশিপ প্রদানের ব্রত নিয়েই সংগঠনটি গঠন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এভানস্টোনে রোটারির সদর দপ্তর। জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণের জন্য ১৯২৮ সালে রোটারি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বিদেশে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি, মানবধর্মী প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ এবং রোটারিয়ানদের বিদেশ সফরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনআইইএলটিএস ছাড়া সুইডেনের যে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যাবে০১ ডিসেম্বর ২০২৪সেই রোটারি ফাউন্ডেশন দেবে ফেলোশিপ। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ও প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য মিলবে ফেলোশিপ/বৃত্তি। এ ফেলোশিপের আওতায় বিনা মূল্যে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এ স্কলারশিপের জন্য। নানা সুযোগ–সুবিধার মধ্যে ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ রয়েছে এ ফেলোশিপে।
১৩০টি স্কলারশিপ পাবেন আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে স্নাতকোত্তরে ৫০টি এবং একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য ৮০টি স্কলারশিপ। এ স্কলারশিপে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সুযোগ এবং তুরস্ক ও উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।
আরও পড়ুননেদারল্যান্ডসে পড়তে যাওয়ার ৫ কারণ০৭ অক্টোবর ২০২৩সুযোগ-সুবিধা—১৫ থেকে ২৪ মাস মেয়াদি স্নাতকোত্তরের জন্য এবং ১ বছর একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রোটারি ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল অর্থায়ন করবে
টিউশন ফি মওকুফ
আবাসন সুবিধা
বিমানে যাতায়াতের অর্থ
ইন্টার্নশিপ ও ফিল্ড স্টাডিজে মিলবে অর্থ
স্বাস্থ্যবিমা
নেই আবেদন ফি
ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ আছে।
এ স্কলারশিপে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সুযোগ এবং তুরস্ক ও উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ও তাদের দোসররা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও তদন্তাধীন মামলা প্রত্যাহারে আবেদন শুনানিকালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা আদালতে অপেশাদার আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংগঠনটি বলেছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ‘বিচারকাজে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। প্রশ্নের জবাব ও সূচনা বক্তব্য দেন ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল। এ সময় ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল, ফোরামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মো. রুহুল কুদ্দুস ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, গ্রেপ্তারের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও তদন্তাধীন মামলা প্রত্যাহারে আবেদন শুনানিকালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা আদালতে অপেশাদার আচরণ করেছেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হট্টগোল সৃষ্টি করে বিচারকার্যের পরিবেশ বিঘ্নিত করেছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা।
সংবাদ সম্মেলন ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিমের যাঁরা তল্পীবাহক আছেন, তাঁরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের প্রধান পলাতক শেখ হাসিনা। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইনজীবীরা ও দেশের মানুষ মনে করছে, সেই বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত ও প্রতিহত করার একটা ট্রায়াল (মহড়া) ছিল গত ১১ আগস্ট। অর্থাৎ শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর যিনি গণতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, খায়রুল হকের জামিন চাওয়ার নামে আইনজীবীরা যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট রেজিমের দোসর। তাঁরা সেদিন আদালতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রমাণ করার অপপ্রায়স চালিয়েছিলেন যে আদালত সঠিকভাবে কাজ করছেন না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল বলেন, ‘খায়রুল হকের কীর্তি বা কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলাদেশ জানে। তিনি আজকে আইনের আওতায় এসেছেন।…তাঁর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি। বিচার চাই যেন ভবিষ্যতে আর নতুন কোনো খায়রুল হক এই জুডিশিয়ারি থেকে সৃষ্টি না হয়। আর জামিনের বিষয়ে অবশ্যই সবাই চাইতে পারে। কিন্তু জামিন চাওয়ার আবেদন সামনে নিয়ে আদালতের পরিবেশ নষ্ট করা, আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা—তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।’
লিখিত বক্তব্যে আদালতের ভেতরে বিশৃঙ্খলাকারী আওয়ামী লীগের দোসর আইনজীবী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপতির প্রতি দাবি জানিয়েছে ফোরাম। একই সঙ্গে আদালতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে মনে করে সংগঠনটি।
উন্মুক্ত আদালতে বিচারপতিদের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আদালতের প্রতি অবহেলা এবং সহকর্মী আইনজীবীদের গায়ে হাত তোলা পেশাগত অসদাচরণের শামিল উল্লেখ করে আইনজীবীদের এই অপেশাদার আচরণের বিরুদ্ধে ‘পেশাগত আচরণ ও শিষ্টাচার বিধিমালা’ অনুসারে ‘ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন’ গ্রহণ করে সনদ বাতিলসহ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রতিও দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই সংগঠনটি।