আবারও আলোচনায় আলোচিত কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাত মাস ধরে এক কলেজ ছাত্রীকে ডেমরার একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের। এ অভিযোগে সোমবার রাতে ডেমরা থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। ওই মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ডেমরার একটি বাসা থেকে সেই মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নোবেল ছিলেন সম্ভাবনাময় এক শিল্পী। ভারতের কলকাতার চ্যানেল জি-বাংলার ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে মাদক সেবন, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা, কনসার্টে মদ্যপ অবস্থায় ওঠার পাশাপাশি সিনিয়র গায়কদের নিয়ে ফেসবুকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। জেলও খেটেছেন কয়েকবার।
আরও পড়ুনঅপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার২০ মে ২০২৫গোপালগঞ্জের পরিবহনমালিকের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল ২০১৯ সালে ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন হবেন বলে তাঁর ভক্তরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে তাঁকে তৃতীয় ঘোষণা করে জি-বাংলা কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন নোবেল। তিনি নাকি প্রতিযোগিতা চলাকালে বলেছিলেন, ‘তার গান বিচার করার ক্ষমতা বিচারকদের নেই।’ ওই ঘটনায় জি-বাংলা চ্যানেল তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল। অভিযোগ ছিল, কেবল বিচারকদের সঙ্গেই নয়, অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গেও তিনি নাকি নাক উঁচু ভাব নিতেন। কাউকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না।
পশ্চিমবঙ্গের কেমব্রিজ স্কুল ও কলেজ থেকে এ এবং ও লেভেল সম্পন্ন করা নোবেলের বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের মামলা হয় ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রামের এক তরুণী পাঁচলাইশ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে কেন উড়োজাহাজভাড়া এত বেশি, মোদির ‘উড়ান’ কি তাহলে ফাঁপা বুলি
সালমান শহীদ ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলের বৃহত্তম শহর শ্রীনগর ও নয়াদিল্লির মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত করেন। তিনি শ্রীনগরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজিতে (আইআইটি) ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টার চালান। কিন্তু তাঁর পরিবার থাকে রাজধানী নয়াদিল্লিতে।
উড়োজাহাজে যাতায়াত শহীদের সময় অনেকটা বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু এখন এই খরচ মেটানো তাঁর জন্য ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
শহীদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আগে শ্রীনগর থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত একমুখী ফ্লাইটের গড় ভাড়া ছিল প্রায় ৩ হাজার ৩০০ রুপি (প্রায় ৩৭ দশমিক ২০ মার্কিন ডলার)। এখন একই টিকিটের দাম ৫ হাজার রুপির (প্রায় ৫৬ ডলার) বেশি। তা–ও আবার খুব সীমিত সময়ে টিকিট করলে এমন দামে পাওয়া যায়।
উড়োজাহাজ ভাড়ার এই প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি শহীদের যাতায়াতের রুটিনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন ততটা ঘন ঘন যাতায়াত করি না। আগে মাসে অন্তত চারটি আসা-যাওয়া করতাম। এখন তা কমে দুটিতে দাঁড়িয়েছে।’
শহীদ মনে করেন, ২০১৯ সালে ভিস্তারা এয়ারলাইনসের মাত্র ১ হাজার ৭০০ রুপিতে টিকিট বুক করার কথা। এখন সেই ধরনের দাম স্বপ্ন মনে হয়। এত কম সময়ের মধ্যে ভাড়া এতটা বাড়ল কেন, তা কোনোভাবেই তাঁর মাথায় ঢুকছে না। এই না বোঝার তালিকায় শহীদ একা নন।
ভাড়া বৃদ্ধির হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চনভেম্বরে প্রকাশিত এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (এসিআই) এক গবেষণা অনুসারে, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ভারতে অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজভাড়া ২০১৯ সালের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে ভিয়েতনামের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক ভাড়াও ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খাতে ভারতের অবস্থান তৃতীয়।
এসিআই এবং ফ্লেয়ার অ্যাভিয়েশন কনসাল্টিংয়ের যৌথ গবেষণায় এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উচ্চ চাহিদা, কিছু রুটে সীমিত প্রতিযোগিতা এবং ২০১৯ সাল থেকে বিমান টারবাইন জ্বালানি (এটিএফ) ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে প্রতি কিলোলিটার জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৬৮ হাজার ৫০ রুপি (প্রায় ৭৫৯ ডলার), যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বেড়ে হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৬৬ রুপি (প্রায় ১ হাজার ৪৬ ডলার)। এয়ারলাইনসগুলো মহামারির সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও ভাড়া বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৫ সালে সুনির্দিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কোনো গবেষণা না এলেও সারা বছর ধরেই দাম বাড়তে দেখা গেছে।
ভারতের বড় এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে ইন্ডিগো