বরিশালে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার রাতে একদল যুবক নগরের ফকিরবাড়ি সড়কে দলটির কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আটটার দিকে একদল লোক ফকিরবাড়ি সড়কের সিহাব ভিলার দ্বিতীয় তলায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে ভাঙচুর করা হয়।

জাতীয় পার্টির বরিশাল মহানগর আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।
রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও আলমারি ভাঙচুর করে তছনছ করা হয়েছে। এ ছাড়া দলীয় সাইনবোর্ডও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভাঙচুর হয়েছে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি। এতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় একদল ব্যক্তি। এতে জাপার অন্তত ছয় নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় জাপার নেতা-কর্মীরা হামলাকারী এক যুবককে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে নোয়াখালীতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নোয়াখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর প্রধান শিক্ষকের লেলিয়ে দেওয়ার বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আজ বুধবার সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এসব কর্মসূচি পালন করে।

এর আগে আজ সকালে প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়। তখন প্রধান শিক্ষকের পক্ষ হয়ে বহিরাগত একদল তরুণ ও বিদ্যালয়ের কর্মচারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা শিক্ষার্থীদের রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে মো. তামিম ও ইয়াসিন আরাফাত নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষিকাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের জড়িত প্রধান শিক্ষক রিয়াদ মাহমুদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে তারা আন্দোলন করছে। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সকালে ওই তদন্ত কমিটি সরেজমিনে বিদ্যালয়ে তদন্ত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী উচ্চবিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তাদের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে জেলা শহর মাইজদীতে সুধারাম থানার পাশে সড়কে অবস্থান নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা সময় ধরে শিক্ষার্থীরা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় পুলিশ ও সেনবাহিনীর কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান শিক্ষক মাহমুদ রিয়াদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের দিয়ে হামলার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কথা হয় তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিম হাসান খানের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। সব পক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তের মধ্যেই আজ শিক্ষার্থীরা তাঁর কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগও তিনি পেয়েছেন। সবকিছু তদন্তের আওতায় আসবে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে নোয়াখালীতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ