৯নং ওয়ার্ড যুবদলের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
Published: 1st, June 2025 GMT
মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি (বীর উত্তম) শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ ৯ ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ।
রবিবার ( ১ জুন ) সন্ধ্যায় জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ায় যুবদল নেতা আসলাম মাহমুদ ও সানোয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী করা হয়।
যুবদল নেতা আসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল ন র য়ণগঞ জ রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দুটি হত্যাসহ তিন মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নামঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা দুটি হত্যাসহ তিন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী মিনারুল ইসলাম (২৯) পেটে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে সেলিনা হায়াতের নাম ১২ নম্বরে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি।
এ ছাড়া গত ২০ জুলাই আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে রিকশাচালক মো. তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাত, গোলাম দস্তগীর গাজী, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ছাড়া আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হকার নাদিম হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করেন নিহতের বাবা দুলাল হোসেন। ওই মামলায় আইভী এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি।
আইভীর আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা দুটি হত্যাসহ তিন মামলায় আমরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। মামলা তিনটির এজাহারে আইভীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাঁর নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় হয়েছে, এমন কোনো অভিযোগ নেই। তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে ওভারঅ্যাক্টের কোনো অভিযোগ নেই। আদালত জামিন না দেওয়ায় আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি আইভীর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়েছে। আসামি জামিন পেলে বাদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা আইভীর জামিনের বিরোধিতা করেছি।’
৯ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের চুনকা কুটিরের বাড়ি থেকে পুলিশ সেলিনা হায়াৎকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। তাঁকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে আইভী কাশিমপুর কারাগারে বন্দী আছেন।