জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উদ্দেশে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘সাহস থাকলে কাউন্সিল করুন। আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমাদের প্যানেলে মহাসচিব প্রার্থী হবেন এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। নির্বাচনে আসুন, দেখতে চাই আপনি কত ভোট পান।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ‘একাত্মতা প্রকাশ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় জি এম কাদেরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা নেতাকর্মীদের নিয়ে আনিসুল ইসলামের সঙ্গে যোগ দেন। জাপার সাবেক এমপি নুরুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চাপে পড়া জাপার নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে মাস খানেক ধরে। গত চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারের দোসর তকমা পেয়েছে দলটি। আনিসুল ইসলাম দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাইলে ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত করেন জি এম কাদের। সম্মেলন নিয়ে পাল্টাপাল্টির মধ্যে গত ৭ জুলাই মুজিবুল হক চুন্নুকে সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারীকে দলের মহাসচিব করেন জি এম কাদের। সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন আনিস এবং হাওলাদারকেও। 

অনুষ্ঠানে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জাতীয় পার্টি তৈরি করেছি, এই পার্টি যেন মুসলিম লীগ, জাসদের মতো হয়ে না যায়। সেজন্য জাতীয় পার্টিকে বড় করার চেষ্টা করছি। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, জাতীয় পার্টি ভাঙবে না, আরও বৃহৎ হবে।’

এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দুটি নয়, একটি জাতীয় পার্টি থাকবে। সিন্ডিকেটে জাতীয় পার্টি বন্দি থাকবে না।’

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জি এম কাদের বেআইনিভাবে আমাদের ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এই অব্যাহতি মানি না।’

লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করতে জি এম কাদেরকে বহুবার বলেও ব্যর্থ হয়েছি।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র এম ক দ র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রেপ্তারকৃতদের তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ আশ্বাস দেন।

শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তাঁরা এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, এলডিসি-পরবর্তী সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধান পার্ক ইউনজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ