দেহপুঁথিপালা

নিশার নোনা বেহায়া বাতাসে চেতনা গিয়েছিল ভেসে

সমুদ্রঠোঁটে হুইস্কির বিদ্রোহ, ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে স্ফীত

বালির বিছানায় মুখ থুবড়ে পড়া এক প্রাচীন নাবিক

ভাঙা নৌকার দৃশ্য, শরীরে সমুদ্রের ইতিহাস লিখিত।

কাহ্নপার বাহু—ভোরের জোয়ার, ফুটেছে আদিমতার কানন

ঘরের নিঝুমে লুকানো ছিল আমার পুরাণ নদীর গীতবিতান

মিলিয়েছি তাতে চপল ঠোঁট, খুলেছি মহাসমুদ্রের অভিধান

জামার বোতামে ছিল না আর মলাট, কেবল খোলা ব্যাকরণ

মুখচাপা পাঁচালি নিয়ে লিখেছি রাতের পঙ্‌ক্তিমালা

সল্ট মেমোমির অক্ষরে গাঁথা আমার দেহপুঁথিপালা

শিকারি

বিষণ্ন জোনাকি খুঁজে ফেরে

মন্থর আগুন

দিকশূন্য পথিক সন্ধ্যার ব্যবধানে সবাই পাখি

বাসা নেই, বসতি আছে

অতল ডুবোজাহাজের দিকে

কুয়াশাভেজা বাতাসের হল্লা

ধূমায়িত দুপুরের ঘ্রাণ

নদীর অনতিদূরে

কবে যেন হারিয়ে গেছে

বাস্তুচ্যুতের মানচিত্র

অন্ধত্বকে বেছে নেয়

শাসকের তর্জমা

বাঘের পোশাকে বেড়ালের নির্নিমেষ

শুধুই দর্শন নয়

বাঘের ছায়ার কারুকাজ

পায়নি শরীর

কেবল অশরীরী মৃত মুখগুলো

শিকারের শব্দ, কল্প, দ্রুম!

পিকাসোর সাথে আলাপ

ঘুমন্ত ক্যানভাসে আঁকা স্বপ্নেরা আজ জেগে ওঠে,

রঙেরা খুঁজে ফেরে দেহহীন আত্মার প্রতিচ্ছবি।

আমি বলি—পিকাসো, মানুষের মুখ কেন ভাঙা?

সে হাসে—সময়ের পাঁজরে লুকানো ব্যথা তো এ-ই।

ঘড়ির কাঁটা গলিয়ে দেয় চোখের ভেতর সময়ের ছায়া,

নাক হয় নদী, ঠোঁট একটি ভগ্নসভ্যতার নৌকা।

দর্শন বলে—রূপ নয়, অনুভবই চূড়ান্ত রিয়েলিটি,

জাদুবাস্তবতায় আমি ও পিকাসো দুজনই অসমাপ্ত ছবি।

ময়ূরী নাও

হয়তো এমনই রাস্তা

টুকরো একফোঁটা নদীর

হারিয়ে যাওয়া ফিকে আলোটুকু

একটুকরো শূন্য,

একটু নিবিড় মাছেরা জল ভেঙে খেলছে দলে দলে

মৃত নদীর জখম লুকিয়ে

ভেঙে যাচ্ছে রঙের পয়োধর

তুমি–আমি ঈষৎ স্থাপত্যে

ভেঙে যাচ্ছি নদীর পথে পথে

অবঘন আকাশ আর শুকনো পাতাদের উদাসী পতঝড়

বাড়ির ছায়াটাকে ঝাঁকায়,

নদীর ন্যুড,

ময়ূরী তুমি নাও!

লাস্ট লিওর

মনের কোণে মেঘপিয়নের ডাক

কয়েকটা একলা শালিক

দূরাভিসারী

ঘরের ভেতর পায়চারি করছে

কবেকার হারানো বিকেল

হারানো কিছু হাসি

হারানো মুখগুলো

এক শ পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার বেগে বাতাসিয়া লুপ

দূর পাহাড়ি পথের বাঁকে

রেখে গেল অপাপ মুখশ্রী

কিন্তু কারা হাসতে হাসতে ফোটায় হাসনুহেনা

কিছু ফিনিক্স পাখি

ডানায় বিষণ্ন আলো

যেন বলছে মেঘাতাবুরু মেঘাতাবুরু

এ ফোঁড়–ও ফোঁড় করে

মনকে শক্ত ডানায় বেঁধে

উড়িয়ে দিয়ে দেখেছি

চাইলেই ওড়া যায় না,

ওড়ার জন্য আকাশকেও মানতে হয় মেঘের আলাপন

কাঁটাতারের ওপারে

মেঘেদের না ফেরার দেশ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চব্বিশ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়: ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘জুলাই, ২৪ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক  প্রফেসর ড. এএসএম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসীর। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ