বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার গণসংযোগ
Published: 12th, June 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলা-৪ (মনপুরা-চরফ্যাশন) আসনে গণসংযোগ শুরু করেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া গত শুক্রবার ঢাকা থেকে ভোলায় পৌঁছান। এ সময় নির্বাচনী এলাকার শত শত শত মানুষ মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে এসে তাঁকে বরণ করে নেন। পরে তিনি চরফ্যাশনের দুলারহাটে তাঁর জন্মস্থানে যান। তারপর তিনি সেখানে পথসভা করেন।
ঈদের দিন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া দুলারহাট থানার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তার পর থেকে উপজেলার আনজুরহাট, হাজিরহাট, দক্ষিণ আইচা, চেয়ারম্যান বাজার, কাশেমগঞ্জ, রোদেরহাট, জনতার বাজার, ভুঁইয়ারহাট, বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন।
চরফ্যাশন উপজেলার প্রায় ১৫টি ইউনিয়নে গণসংযোগের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফাসংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ করেন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। প্রচারপত্র বিতরণের সময় তিনি চরফ্যাশনবাসীর নানা সমস্যার কথা শোনেন।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া চরফ্যাশনের নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া তিনি দুলারহাটের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, দুলারহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ২৫ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করার জন্য তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আজ বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী সভা করেন।
১০ জুন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া চরফ্যাশনের ঘোষেরহাটে যান। সেখানে মতবিনিময় সভায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এই উপস্থিতি, মানুষের এত উৎসাহ, এই আস্থা প্রমাণ করে দেয়, মানুষ পরিবর্তন চায়। তাই নতুনের পেছনে এত স্রোত। আপনাদের এই ভালোবাসা, এই সমর্থনই, আমাদের আগামীতে পথচলার প্রেরণা। নতুন কিছু হবে আপনাদের নিয়েই, আপনাদের জন্যই সামনে চলব। চলুন! একসাথে গড়ি এক নতুন ভবিষ্যৎ।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ছ দ দ ক উল ল হ ম য দ ল রহ ট উপজ ল র ব এনপ র গণস য গ
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ, প্রার্থী হলে করাতে হবে ডোপ টেস্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হলে ডোপ টেস্ট করাতে হবে এবং রিপোর্ট পজিটিভ হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
এ ছাড়া কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং প্রার্থিতা বাতিল বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার কিংবা রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী সব দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাকসুর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়। আচরণবিধিতে মনোনয়নপত্র, প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের বাধ্যবাধকতা, নির্বাচনে প্রচারণা, ছাত্র ও ছাত্রীদের হলে প্রবেশের নিয়মাবলি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, প্রার্থী নিজে বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো ধরনের মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না। প্রার্থীকে সশরীর উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
নির্বাচনে যানবাহন ব্যবহারের বিধিনিষেধের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বা নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের যানবাহন, মোটরসাইকেল, রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি, হাতি, ব্যান্ড পার্টি ইত্যাদি নিয়ে শোভাযাত্রা, শোডাউন বা মিছিল করা যাবে না। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে বা ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটারদের আনা-নেওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনের দিন প্রার্থী, ভোটার, শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে বাইসাইকেল ও রিকশা ব্যবহার করতে পারবে।
আচরণবিধিতে নির্বাচনী সভা, সমাবেশ ও শোভাযাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে। প্রচারণার সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রার্থী ও ভোটার ব্যতীত অন্য কেউ কোনোভাবেই কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় শুধু সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহার করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পোস্টারের আকার অনধিক ৬০*৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি হবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ভবনের দেয়ালে নির্বাচনসংক্রান্ত লেখা ও পোস্টার লাগানো যাবে না।
কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁর সমর্থকেরা অপর কোনো প্রার্থী বা তাঁর সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারে কোনো বাধা সৃষ্টি (যেমন পোস্টার লাগাতে না দেওয়া, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, পোস্টারের ওপর পোস্টার লাগানো, সভা ও মিছিলে বাধা, মাইক কেড়ে নেওয়া ইত্যাদি) করা যাবে না। একাডেমিক ভবনের অভ্যন্তরে মিছিল বা সমাবেশ এবং শ্রেণিকক্ষের অভ্যন্তরে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠেয় সভার স্থান ও সময় সম্পর্কে প্রক্টরকে আগে থেকে জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে। প্রার্থী পরিচিতি সভা ছাড়া অন্য কোনো সভায় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। আবাসিক হলের অভ্যন্তরে কোনো মিছিল করা যাবে না। নির্বাচনের দিনে ভোটার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যতীত ক্যাম্পাসে অন্য সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে ছাত্রদের আবাসিক হলে ছাত্রী এবং ছাত্রীদের আবাসিক হলে ছাত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে পরিচিতি সভায় প্রবেশ করতে পারবে বলে আচরণবিধিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ভোটাররা নিজ নিজ হলের বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবে। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার ইস্যু করা পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে গণমাধ্যমকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।