থুতনির সাহায্যে লিখেই জিপিএ ৫ লিতুন জিরার
Published: 10th, July 2025 GMT
প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোনো বাধা যে ডিঙানো সম্ভব, আবার তা প্রমাণ করল যশোরের মনিরামপুরের লিতুন জিরা। জন্মগতভাবে হাত-পাহীন এ কিশোরী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। অন্যদিকে পটুয়াখালীর মারিয়া আক্তার বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় বসেছিল। সে পেয়েছে জিপিএ ৩ দশমিক ৮৩।
চিকিৎসক হতে চায় লিতুন জিরা
মনিরামপুরের লিতুন জিরার জন্মগতভাবেই হাত-পা নেই। কনুইয়ের ওপর থেকে আছে হাতের ছোট দুটি অংশ। শারীরিক এ প্রতিবন্ধকতা লেখাপড়া থেকে দমাতে পারেনি তাকে। ডান হাতের ছোট্ট অংশ আর থুতনির সাহায্যে কলম চেপে ধরে লিখতে শেখে সে। এভাবে লিখেই এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে এ কিশোরী। গতকাল বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর লিতুন জিরার বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনন্দের বন্যা বইছে।
লিতুন জিরা গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত লিতুন জিরা জানায়, লেখাপড়া করে সে চিকিৎসক হতে চায়। ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতেও সে জিপিএ ৫ পেয়েছিল।
উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের কলেজশিক্ষক হাবিবুর রহমান ও গৃহিণী জাহানারা খাতুনের একমাত্র মেয়ে লিতুন জিরা। জাহানারা জানান, পড়ালেখার প্রতি তাঁর মেয়ের প্রবল আগ্রহ। লেখাপড়া শিখিয়ে তাকে মানুষের মতো মানুষ করতে চান তারা। লিতুন জিরা যেন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সে ব্যাপারে এ দম্পতি সবার সহযোগিতা চান।
পাস করলেও মন খারাপ মারিয়ার
বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় বসা মারিয়া আক্তার জিপিএ ৩ দশমিক ৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে অদম্য এ শিক্ষার্থী। মারিয়া পটুয়াখালী সদরের বদরপুর শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
গত ১০ এপ্রিল ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। সেদিন ছিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা। পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার বাবা মামুন হাওলাদার।
গতকাল ফল প্রকাশের পর মারিয়া বলে, ‘বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে চিকিৎসক বানাবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য সেদিন বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিই। পুরো পরীক্ষা চোখে জল নিয়েই দিয়েছি। কিন্তু যেভাবে পড়েছি, সেভাবে ফল করতে পারিনি। আমার জন্য কষ্ট লাগছে না, বাবার স্বপ্ন সফল হবে না ভেবে কষ্ট হচ্ছে।’ মারিয়ার চাচা অলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, মেয়েটিকে ঢাকায় ভালো কোনো কলেজে ভর্তি করাতে চান তাঁরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা
বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের উৎপাদন শাখায় কিচেন ও বেকারি ইউনিটে ইন্টার্নশিপে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সম্মানী প্রদান করা হবে। শুধু ছয় মাসের জন্য করা যাবে ইন্টার্নশিপ।
কিচেন হেলপার পদে ইন্টার্ন—
বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।
যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।
২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা হতে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি ফুড অ্যান্ড বেভারেজে কুকিং কোর্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।
বেকার হেলপার পদে ইন্টার্ন—
বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।
যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।
২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা থেকে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রিতে সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রির ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।
যোগ্যতা—১. প্রত্যেক প্রার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পাস অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।
২. চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ইন্টার্নকে বিএফসিসিতে ভর্তির সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট বাধ্যতামূলকভাবে সঙ্গে আনতে হবে।
৩. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে ভর্তির আগে বিমান মেডিকেল থেকে শারীরিক ফিটনেস সংগ্রহ করতে হবে।
সুযোগ-সুবিধা—
১. শুধু ছয় মাসের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে ভর্তি করা হবে।
২. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে দৈনিক হাজিরা সাপেক্ষে ছয় শ টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হবে। নির্ধারিত সম্মানী ব্যতীত অন্য কোনো ভাতা দেওয়া হবে না।
৩. রোস্টার মোতাবেক দৈনিক আট ঘণ্টা ডিউটি সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে