শিল্পকলা একাডেমিতে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হলো তিন বরেণ্য সংস্কৃতিসাধক আলোকচিত্রী আমানুল হক, আলোকচিত্র গবেষক ড. নওয়াজেশ আহমদ এবং কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক সমর দাসকে। বৃহস্পতিবার জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষ এবং জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ‘মনীষী স্মরণ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হয়।

বিকেল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় আমানুল হক ও ড.

নওয়াজেশ আহমদের জীবন, কর্ম ও আলোকচিত্র শিল্পে তাদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন ও চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী। দেশের বাইরে থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ‘আমানুল হক আর্কাইভস’-এর তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক আহমেদ অরূপ কামাল। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমানুল হক ও ড. নওয়াজেশ আহমদ শুধু আলোকচিত্রের নান্দনিক ভুবনেই নয় বরং দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বহুমাত্রিক দলিল নির্মাণেও অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের আলোকচিত্র দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।

সন্ধ্যা ৬টায় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় সমর দাস স্মরণ অনুষ্ঠান। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সমর দাসের সুর করা কালজয়ী গান এবং সেই সুরে নৃত্যের অপূর্ব মেলবন্ধন দর্শকদের আবিষ্ট করে তোলে।

জাতীয় নাট্যশালায় ‘দেয়াল জানে সব’

সময়ের রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা আর স্বপ্নভঙ্গের প্রতিধ্বনি নিয়ে মঞ্চে এলো নতুন নাট্য প্রযোজনা ‘দেয়াল জানে সব’। ‘মনসুন রেভ্যুলেশন’-এর স্পিরিটকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হয় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। প্রযোজনা ও পরিবেশনায় ছিল নাট্যদল স্পন্দন থিয়েটার সার্কেল। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাকিল আহমেদ সনেট। নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী আজ সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে একই মিলনায়তনে। দর্শকের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল পকল এক ড ম জ ত য় ন ট যশ ল এক ড ম র অন ষ ঠ ন শ ল পকল স মরণ

এছাড়াও পড়ুন:

শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বাবুলের উঠান বৈঠক

সোমবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামেমসজিদ (প্রাথমিক বিদ্যালয়) সংলগ্ন মাঠে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল এর পক্ষে শহিদনগর এলাকাবাসী এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। 

গোগনগর সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় ও শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের সহ- সভাপতি সুলতান আহমদ'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ–৫ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা যদি বিএনপির ধানের শীষকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে পারেন, তাহলে শুধু শহীদনগর নয় পুরো নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাবে, পরিবর্তন হবে নারায়ণগঞ্জে। আমাদের যে প্রত্যাশা, যে চাহিদা তা ছিনিয়ে নিয়ে আসবো।

দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমি কাজ করবো। মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করবো। আপনারা সকলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন, তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন।

তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল জিয়া ফোরামের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মো. কবির হোসেন, মো. হৃদয়, জাহাঙ্গীর আলম, তোফাজ্জল হোসেন, সুলতান আহমদ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শহীদ নগর এলাকা সব সময়ই বিএনপির ঘাঁটি। এখানে সব সময়ই ধানের শীষ প্রতীক জয়লাভ করে থাকে। আমরা বাবুল ভাইয়ের পক্ষে থেকে সবসময় ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার চিন্তা
  • বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা
  • শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বাবুলের উঠান বৈঠক