বিরতি ভেঙে বিটিএস ফিরছে কবে—তা নিয়ে ব্যান্ডটির অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। ভক্তরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। বিটিএসের মূল প্রতিষ্ঠান হাইবের বরাতে কোরিয়া হেরাল্ড জানিয়েছে, আগামী বছরের মার্চে ফিরছে বিটিএস।
বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন আরএম, জিন, জে–হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুক। সর্বশেষ সদস্য হিসেবে শনিবার ফিরবেন সুগা।
আরও পড়ুনযে ৫ কারণে বিটিএস নিয়ে সংশয়ে ভক্তরা১৭ জুন ২০২৫হাইবের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিটিএস মার্চে ফিরবে।’ এ ছাড়া বিদেশি আরও দুটি সূত্রও বলেছে, নতুন বছরে বিটিএস পুরো দল নিয়ে কাজ শুরু করবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফিরতে পারে ব্যান্ডটি।
হাইব আগেই জানিয়েছে, সামরিক সেবা শেষে সদস্যদের প্রস্তুতির জন্য সময় লাগবে। তাই দ্রুত নয়, একটু সময় নিয়েই ফিরবে বিটিএস।
বিটিএসের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বিগ হিট বলছে, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তারিখ ঠিক হয়নি।
হাইবের আরেক গ্রুপ ‘টুমরো টুগেদার’ও আগামী বছরের মার্চে ফিরবে। তবে বিটিএস নাকি টুমরো টুগেদার—কোন ব্যান্ড আগে ফিরবে, তা এখনো জানা যায়নি।
হাইবের আরেক গ্রুপ এনহাইপেন প্রথমে মার্চে ফেরার পরিকল্পনা করলেও বিটিএসের কারণে সেটা এগিয়ে জানুয়ারিতে নিয়ে এসেছে।
বিটিএস তারকা জিন ২৮ জুন থেকে তাঁর একক কনসার্ট ট্যুর শুরু করতে যাচ্ছেন, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিটিএসের ফেরার সম্ভাবনা কম, তবে ভক্তদের জন্য প্রি-রিলিজ সিঙ্গেল বা অন্য কোনো চমক থাকতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ট এস র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ