Prothomalo:
2025-06-20@18:38:54 GMT

বিটিএস ফিরছে কবে, যা জানা গেল

Published: 20th, June 2025 GMT

বিরতি ভেঙে বিটিএস ফিরছে কবে—তা নিয়ে ব্যান্ডটির অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। ভক্তরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন।

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। বিটিএসের মূল প্রতিষ্ঠান হাইবের বরাতে কোরিয়া হেরাল্ড জানিয়েছে, আগামী বছরের মার্চে ফিরছে বিটিএস।

বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন আরএম, জিন, জে–হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুক। সর্বশেষ সদস্য হিসেবে শনিবার ফিরবেন সুগা।

আরও পড়ুনযে ৫ কারণে বিটিএস নিয়ে সংশয়ে ভক্তরা১৭ জুন ২০২৫

হাইবের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিটিএস মার্চে ফিরবে।’ এ ছাড়া বিদেশি আরও দুটি সূত্রও বলেছে, নতুন বছরে বিটিএস পুরো দল নিয়ে কাজ শুরু করবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফিরতে পারে ব্যান্ডটি।

হাইব আগেই জানিয়েছে, সামরিক সেবা শেষে সদস্যদের প্রস্তুতির জন্য সময় লাগবে। তাই দ্রুত নয়, একটু সময় নিয়েই ফিরবে বিটিএস।

বিটিএসের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বিগ হিট বলছে, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তারিখ ঠিক হয়নি।

হাইবের আরেক গ্রুপ ‘টুমরো টুগেদার’ও আগামী বছরের মার্চে ফিরবে। তবে বিটিএস নাকি টুমরো টুগেদার—কোন ব্যান্ড আগে ফিরবে, তা এখনো জানা যায়নি।
হাইবের আরেক গ্রুপ এনহাইপেন প্রথমে মার্চে ফেরার পরিকল্পনা করলেও বিটিএসের কারণে সেটা এগিয়ে জানুয়ারিতে নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুনবিটিএস সদস্যরা সামরিক জীবনে কে কী করেছেন ১০ ঘণ্টা আগে

বিটিএস তারকা জিন ২৮ জুন থেকে তাঁর একক কনসার্ট ট্যুর শুরু করতে যাচ্ছেন, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিটিএসের ফেরার সম্ভাবনা কম, তবে ভক্তদের জন্য প্রি-রিলিজ সিঙ্গেল বা অন্য কোনো চমক থাকতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ট এস র

এছাড়াও পড়ুন:

আম গাছে ছাতা ভূত

রায়ানের বয়স আট বছর। চুপচাপ, ভীতু আর একটু বেশি ভাবুক। বেশ কয়েকদিন ধরে রাতে তার ঘুমই আসে না! জানালার বাইরের বাগানে একটা বড় আমগাছ আছে। ওই গাছটার দিকে তাকালেই তার মনে হয়, কেউ একজন তাকিয়ে আছে!
এক রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো। মা রান্নাঘরে। বাবা অফিসের ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত।
রায়ান ফিসফিস করে বাবাকে বলে, বাবা, ওই আমগাছটার নিচে কে দাঁড়িয়ে থাকে রোজ রাতে?
বাবা হেসে বললেন, কে আবার? হয়তো রাতজাগা কোনো পাখি।
না না; আমার মনে হয় ওটা ভূত। একদিন দেখেছি, ওর চোখ লাল হয়ে জ্বলে উঠেছিলো।
বাবা এবার গম্ভীর হলেন। ল্যাপটপ বন্ধ করে বললেন, চলো, একবার দেখে আসি।
এতো রাতে বাইরে যাবো?
আমরা দুইজন আছি। তুমি তো আমার বীর যোদ্ধা!
রায়ান কিছুক্ষণ মাথা নেড়ে বললো, ঠিক আছে, কিন্তু তুমি আগে হাঁটো।
দুজন টর্চ হাতে বাগানের দিকে গেলো। আমগাছটার নিচে গিয়ে রায়ান বাবার হাত শক্ত করে চেপে ধরলো।
হঠাৎ বাবা বললেন, ওই দেখো, ওখানে ভূত!
রায়ান ভয়ে বাবার পেছনে লুকোলো। কিন্তু একটু পরে শুনলো, বাবা হাসছেন।
এই যে ভূতটা দেখছো সেটা আসলে তোমার পুরোনো ছাতা! জানো, বাতাসে সেটি ওড়ার মতো লাগছিলো।
রায়ান কৌতূহলী হয়ে ছাতাটার দিকে তাকালো। সত্যিই তো; কালো ছাতা আর লাল রিফ্লেক্টর! দূর থেকে দেখলে একদম ভূতের মতো।
বাবা বললেন, ভয় একবার ধরে বসলে, তখন পাথরও ভূত মনে হয়। আসল ভূত হচ্ছে ভয় নিজেই!
রায়ান একটুও ভয় পাচ্ছিলো না তখন। সে বললো, তাহলে আমি ভয়কে ভয় পাই না!
বাবা বললেন, ভয়কে জিততে হলে জানতে হয় ভয়ের পোশাকের নিচে কী আছে। আমরা আজ সেটি জেনে গেছি।
সেই রাতের পর রায়ান আর ভয় পায় না। আমগাছের ছায়াকে এখন সে ডাকে ‘ভূত মামা’ নামে। আর তার বাবা? সে এখন রায়ানের ভয়বিজয়ী হিরো! n

সম্পর্কিত নিবন্ধ