টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবস্থান করছেন রাজশাহীতে। পদ্মাপাড়ের শহরে ক্রিকেট ভক্তদের উচ্ছ্বাস দেখে অভিভূত বুলবুল।

এ সময় তিনি রাজশাহীতে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোরও আশ্বাস দেন, “রাজশাহীতে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট হয় মাঝেমধ্যে। আমরা গ্রেটার রাজশাহী রিজিয়নের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ চালু করব। এখানে আমরা ক্রিকেট অ্যাকটিভিটি আরও বাড়াব। এখানে ক্রিকেট ট্রেনিং প্রোগ্রাম আরও বাড়ানো হবে।”

রোববার (২২ জুন) রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাসের ২৫ বছর পূর্তিতে দেশব্যাপী অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বুলবুল। এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

আরো পড়ুন:

গল টেস্টে ড্র বাংলাদেশের জন্য ‘মোরাল ভিক্টরি’

আগামী বছরে রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঘোষণা

বুলবুল জানান, টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছে, “আমরা টেস্ট ক্রিকেটকে সামনের দিকে দেখতে চাই। এটা একটা লঞ্চ প্যাড হিসেবে দেখলাম বাংলাদেশের মানুষ—বিশেষ করে গতকাল খুলনায়, আজ রাজশাহীতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টেস্ট ক্রিকেটকে স্বাগত জানাচ্ছে। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ অলরেডি ফুল মেম্বার। ২৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে। আমরা এই আয়োজন সবসময় করতে চাই।”

বিসিবি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বুলবুল জানিয়েছেন দেশের আনাচে-কানাচে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার কথা। রাজশাহীতেও তার কণ্ঠে ছিল সেই ইঙ্গিত।

“আপনারা জানেন যে, ক্রিকেটকে ডিসেন্ট্রালাইজ করতে যাচ্ছি। সব জায়গায় ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি। কীভাবে এখানে আরও বেশি ক্রিকেট খেলা হতে পারে, কীভাবে রাজশাহী থেকে জাতীয় দলে খেলোয়াড়েরা যুক্ত হতে পারেন, কীভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আপনারা সাহায্য করতে পারেন—সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।” 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক টক

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ