দ্বিতীয় দফায় ভাঙল নির্মাণাধীন ফুট বেইলি সেতু, ধাক্কায় ডুবল বাল্কহেডও
Published: 23rd, June 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফুট বেইলি সেতুটি দ্বিতীয় দফায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়া অংশটি নিয়ে বাল্কহেডটিও নদীতে ডুবে যায়।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে নড়িয়া উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন কীর্তিনাশা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। তবে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কীর্তিনাশা নদীর ওপর ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে নদী পারাপারের জন্য ট্রলারের ব্যবস্থা করা হয়।
আরো পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা টোল আদায়
পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা টোল আদায়
পরে জনসাধারণের হাঁটা-চলার জন্য নদীর ওপর একটি ফুট বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ২ অক্টোবর একটি বালুভর্তি নৌযান (বাল্কহেড হিসেবে পরিচিত) ফুট বেইলি সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে।
আবার নতুন করে একই ফুটওভার সেতুটিতে সোমবার সকালে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে যায়। পড়ে সেতুটির ভাঙা অংশসহ নৌযানটি কিছুদূর এগিয়ে পাড়ে ভিড়ানোর সময় ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাশেদ মোল্লা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে নদী পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাঁটাচলার জন্য একটি ফুটওভার সেতু নির্মাণ হচ্ছিল, এখন সেটাও ভেঙে পড়ল।’’
নড়িয়া উপজেলার এলজিডির প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দ্রুত ফুট বেইলি সেতুটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘আমি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মিটিংয়ে আছি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য র একট
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ