মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ইরানের হাতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র, অর্থাৎ হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে দেশটি। সে কারণে গতকাল সোমবার বিশ্বের সব গণমাধ্যমেই এই হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রভাব নিয়ে সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে।

ইসরায়েল–ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইরানের সংসদে ইতিমধ্যে হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান হরমুজ প্রণালি অবরোধ করলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অন্যতম মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতিদিনই কিছু কিছু না বাড়ছে। খবর বিবিসি, আল–জাজিরা, রয়টার্সের।

বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি হরমুল প্রণালি দিয়ে তেল সরবরাহ এক মাসের জন্য অর্ধেকে নেমে আসে এবং পরবর্তী ১১ মাসে তা ১০ শতাংশ কমে যায়, তাহলে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম অস্থায়ীভাবে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১১০ মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে। নানা ধরনের হিসাব কষে দেখিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। তার মধ্যে আরেকটি হিসাব হলো, ইরানের তেল সরবরাহ দৈনিক সাড়ে ১৭ লাখ ব্যারেল কমে গেলে ব্রেন্টের ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৯০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। তবে ২০২৬ সালের মধ্যে সরবরাহ স্থিতিশীল হলে তা ৬০-৭০ ডলারের মধ্যে নেমে আসবে।

অন্যদিকে আরেক বিনিয়োগ ব্যাংক জে পি মরগ্যানের বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, অতীতে মধ্যপ্রাচ্যে সরকার পরিবর্তনের পর তেলের দাম হঠাৎ করে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে—দীর্ঘ মেয়াদে বেড়েছে গড়ে ৩০ শতাংশ। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইরানে সরকার পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে বলে শঙ্কা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ)। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জ্বালানি তেলের বাজার কোথায় যায়, সেদিকে নিবিড় দৃষ্টি রাখা হয়েছে। তেলের দাম বাড়লে বিশ্ব অর্থনীতির সবখানে তার প্রভাব অনুভূত হবে। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলে শুধু তাৎক্ষণিক নয়, পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তেলের দাম বাড়লে তা বড় বড় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরতে পারে। তখন ভোক্তা ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগ কমতে পারে, এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করতে হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) অনুমান, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে প্রতিদিন হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রায় দুই কোটি ব্যারেল তেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা হলে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।

শেয়ার ফিউচার্সের পতন

বৈশ্বিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়েছে। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে; নাসডাক ফিউচার্স কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ারবাজারগুলোর সূচক নিয়ে (জাপান বাদে) মর্গান স্টানলির তৈরি এমএসসিআই সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে আর জাপানের নিক্কি সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।

ইউরোপের বাজারেও পতনের ধারা দেখা গেছে। ইউরোস্টকস ৫০ ফিউচার সূচক শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ, এফটিএসই ফিউচার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও ডিএএক্স ফিউচার সূচক শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

মুদ্রাবাজারের অবস্থা

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সাধারণত সোনা ও ডলারের মান বাড়ে। তবে এবার এখন পর্যন্ত সেই প্রবণতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে প্রতি ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ১৪৬ দশমিক ৪৮ ইয়েন। অন্যদিকে ইউরোর বিপরীতে ডলারের মান শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি ইউরোতে পাওয়া যাচ্ছে ১ দশমিক ১৪৮১ ডলার।

বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ড। কিন্তু গতকাল এই বন্ডের বিষয়েও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি দেখা যায়নি, বরং ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার ২ ভিত্তি পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশে।

ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার নিয়ে আগাম অনুমানের বাজারে (ফিউচার্স) সামান্য পতন দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, তেলের দাম দীর্ঘ মেয়াদে বাড়লে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতিতে আরও চাপ তৈরি হবে—এ আশঙ্কা থেকেই এই প্রতিক্রিয়া।

ইরান কি হরমুজ বন্ধ করতে পারবে

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরমুজ যে কেবল ইরানের জন্য ভৌগোলিক সুবিধা, তা নয়; বরং এটি তাদের কৌশলগত অস্ত্র। ইরানের উপকূলঘেঁষা এই চ্যানেলের মাধ্যমে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগর সংযুক্ত হয়েছে। শুধু ইরান নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে এ সমুদ্রপথের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) প্রতিবেদন অনুসারে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয়, যা তেলের বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ২১ শতাংশ।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলছে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত জ্বালানি তেলের প্রায় ৭০ শতাংশেরই ভোক্তা দক্ষিণ এশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাও সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। ফলে হরমুজ প্রণালিতে যেকোনো ব্যত্যয়ের প্রতিক্রিয়া এসব দেশের জ্বালানি তেলের বাজারেও পড়বে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সভার্সাল কনসালটিংয়ের প্রেসিডেন্ট এলেন ওয়াল্ড সিএনবিসিকে বলেন, হরমুজ প্রণালিতে তেলপ্রবাহের গতি থামিয়ে প্রকৃতপক্ষে ইরানের ‘লাভ নেই’। বিশেষ করে যখন ইরানের নিজস্ব তেল স্থাপনাগুলোতে এখনো সরাসরি হামলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে ইরানকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হতে পারে।

এ ছাড়া হরমুজ প্রণালির বেশিরভাগ অংশই ওমানের সীমানার মধ্যে, ইরানের মধ্যে নয়। এই প্রণালি এতটাই চওড়া যে ইরান চাইলেও তা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না বলে মনে করেন বিশ্লোষকেরা। অনেক জাহাজ ইরানের জলসীমা দিয়ে গেলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের অংশ দিয়েও চলাচল সম্ভব। সে কারণে এই প্রণালী বন্ধ করার হুমকি রাজনৈতিক বক্তৃতার বেশি কিছু নয়।

এলেন ওয়াল্ড আরও সতর্ক করে বলেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাবে—তখন ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা চীনও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই বাস্তবতা বুঝে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে চীনের দূতিয়ালি চেয়েছে, তারা যেন ইরানকে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করতে বারণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ইরানের হাতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র, অর্থাৎ হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে দেশটি। সে কারণে গতকাল সোমবার বিশ্বের সব গণমাধ্যমেই এই হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রভাব নিয়ে সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে।

ইসরায়েল–ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইরানের সংসদে ইতিমধ্যে হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান হরমুজ প্রণালি অবরোধ করলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অন্যতম মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতিদিনই কিছু কিছু না বাড়ছে। খবর বিবিসি, আল–জাজিরা, রয়টার্সের।

বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি হরমুল প্রণালি দিয়ে তেল সরবরাহ এক মাসের জন্য অর্ধেকে নেমে আসে এবং পরবর্তী ১১ মাসে তা ১০ শতাংশ কমে যায়, তাহলে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম অস্থায়ীভাবে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১১০ মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে। নানা ধরনের হিসাব কষে দেখিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। তার মধ্যে আরেকটি হিসাব হলো, ইরানের তেল সরবরাহ দৈনিক সাড়ে ১৭ লাখ ব্যারেল কমে গেলে ব্রেন্টের ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৯০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। তবে ২০২৬ সালের মধ্যে সরবরাহ স্থিতিশীল হলে তা ৬০-৭০ ডলারের মধ্যে নেমে আসবে।

অন্যদিকে আরেক বিনিয়োগ ব্যাংক জে পি মরগ্যানের বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, অতীতে মধ্যপ্রাচ্যে সরকার পরিবর্তনের পর তেলের দাম হঠাৎ করে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে—দীর্ঘ মেয়াদে বেড়েছে গড়ে ৩০ শতাংশ। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইরানে সরকার পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে বলে শঙ্কা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ)। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জ্বালানি তেলের বাজার কোথায় যায়, সেদিকে নিবিড় দৃষ্টি রাখা হয়েছে। তেলের দাম বাড়লে বিশ্ব অর্থনীতির সবখানে তার প্রভাব অনুভূত হবে। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলে শুধু তাৎক্ষণিক নয়, পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তেলের দাম বাড়লে তা বড় বড় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরতে পারে। তখন ভোক্তা ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগ কমতে পারে, এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করতে হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) অনুমান, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে প্রতিদিন হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রায় দুই কোটি ব্যারেল তেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা হলে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।

শেয়ার ফিউচার্সের পতন

বৈশ্বিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়েছে। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে; নাসডাক ফিউচার্স কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ারবাজারগুলোর সূচক নিয়ে (জাপান বাদে) মর্গান স্টানলির তৈরি এমএসসিআই সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে আর জাপানের নিক্কি সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।

ইউরোপের বাজারেও পতনের ধারা দেখা গেছে। ইউরোস্টকস ৫০ ফিউচার সূচক শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ, এফটিএসই ফিউচার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও ডিএএক্স ফিউচার সূচক শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

মুদ্রাবাজারের অবস্থা

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সাধারণত সোনা ও ডলারের মান বাড়ে। তবে এবার এখন পর্যন্ত সেই প্রবণতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে প্রতি ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ১৪৬ দশমিক ৪৮ ইয়েন। অন্যদিকে ইউরোর বিপরীতে ডলারের মান শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি ইউরোতে পাওয়া যাচ্ছে ১ দশমিক ১৪৮১ ডলার।

বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ড। কিন্তু গতকাল এই বন্ডের বিষয়েও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি দেখা যায়নি, বরং ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার ২ ভিত্তি পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশে।

ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার নিয়ে আগাম অনুমানের বাজারে (ফিউচার্স) সামান্য পতন দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, তেলের দাম দীর্ঘ মেয়াদে বাড়লে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতিতে আরও চাপ তৈরি হবে—এ আশঙ্কা থেকেই এই প্রতিক্রিয়া।

ইরান কি হরমুজ বন্ধ করতে পারবে

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরমুজ যে কেবল ইরানের জন্য ভৌগোলিক সুবিধা, তা নয়; বরং এটি তাদের কৌশলগত অস্ত্র। ইরানের উপকূলঘেঁষা এই চ্যানেলের মাধ্যমে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগর সংযুক্ত হয়েছে। শুধু ইরান নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে এ সমুদ্রপথের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) প্রতিবেদন অনুসারে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয়, যা তেলের বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ২১ শতাংশ।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলছে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত জ্বালানি তেলের প্রায় ৭০ শতাংশেরই ভোক্তা দক্ষিণ এশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাও সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। ফলে হরমুজ প্রণালিতে যেকোনো ব্যত্যয়ের প্রতিক্রিয়া এসব দেশের জ্বালানি তেলের বাজারেও পড়বে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সভার্সাল কনসালটিংয়ের প্রেসিডেন্ট এলেন ওয়াল্ড সিএনবিসিকে বলেন, হরমুজ প্রণালিতে তেলপ্রবাহের গতি থামিয়ে প্রকৃতপক্ষে ইরানের ‘লাভ নেই’। বিশেষ করে যখন ইরানের নিজস্ব তেল স্থাপনাগুলোতে এখনো সরাসরি হামলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে ইরানকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হতে পারে।

এ ছাড়া হরমুজ প্রণালির বেশিরভাগ অংশই ওমানের সীমানার মধ্যে, ইরানের মধ্যে নয়। এই প্রণালি এতটাই চওড়া যে ইরান চাইলেও তা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না বলে মনে করেন বিশ্লোষকেরা। অনেক জাহাজ ইরানের জলসীমা দিয়ে গেলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের অংশ দিয়েও চলাচল সম্ভব। সে কারণে এই প্রণালী বন্ধ করার হুমকি রাজনৈতিক বক্তৃতার বেশি কিছু নয়।

এলেন ওয়াল্ড আরও সতর্ক করে বলেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাবে—তখন ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা চীনও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই বাস্তবতা বুঝে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে চীনের দূতিয়ালি চেয়েছে, তারা যেন ইরানকে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করতে বারণ করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অপর শ ধ ত জ ব ল ন য ক তর ষ ট র র র য ক তর ষ ট র র ব শ ব র সব ত ল সরবর হ ব শ বব জ র প রব দ ধ র ক প রব দ ধ শ য় রব জ র রয়ট র স র ত ল আমদ ন বন ধ করত পর ব হ ত র ব পর ত পর স থ ত র জন ত ক র সবচ য় পরবর ত শ কম ছ বন ড র র জন য সব দ শ ত হয় ছ বন ধ র এন র জ অন ম ন র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মেট্রোরেলে আরও সহজ হচ্ছে টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ

মেট্রোরেলের যাত্রীদের ভাড়া পরিশোধ আরও সহজ ও বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নতুন ব্যবস্থায় ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার (পাঞ্চ) করেও ভাড়া দেওয়া যাবে। এ ছাড়া একক যাত্রায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের সুযোগ থাকবে। নতুন এ ব্যবস্থার নাম ইউনিভার্সেল টিকেটিং সিস্টেম (ইউটিএস)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এটি চালু করতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। অবশ্য বর্তমানে চালু থাকা র‍্যাপিড ও এমআরটি পাস এবং একক যাত্রার কার্ডও কার্যকর থাকবে।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন টিকিট–ব্যবস্থা ইউটিএস চালুর জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান এতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হবে।

নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

ঠিকাদার নিয়োগ, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে গ্রাহককে এ সেবা দিতে ছয় মাস লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ব্যবস্থাটি চালু করতে ডিএমটিসিএল বিনিয়োগ করবে না। যন্ত্রপাতি বসানো, সফটওয়্যার স্থাপন ও লেনদেন সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টিকিট বেচার অর্থ থেকে একটা অংশ ঠিকাদারকে দেওয়া হবে। তা কত হবে এখনো ঠিক হয়নি। ঠিকাদারদের কাছ থেকে পাওয়া দরপ্রস্তাবের ওপর এটি নির্ভর করবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সেটি ‘ক্লোজ লুপ’। এটি শুধু জাপানের সনি কোম্পানির কার্ড পড়তে (রিডিং) পারে। ফলে ডেবিট–ক্রেডিট কার্ড বা অন্য ব্যবস্থা কাজ করে না। নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

বর্তমানে একক যাত্রার কার্ড স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনার পর পাঞ্চ করে ট্রেনে উঠতে হয়। যাত্রা শেষে স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একক যাত্রার কার্ড কিনতে পারবেন। বিকাশ, রকেটসহ মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন পণ্য কেনা হয়, সেভাবে টিকিট কেনা যাবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ভ্রমণের টাকা পরিশোধ করলে গ্রাহক একটা কিউআর কোড তাঁর মোবাইল ফোনে পাবেন। সেটি স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় যন্ত্রে ধরতে (স্ক্যান) হবে।

যাত্রীর চাহিদা মতো কার্ড বা টিকিট সরবরাহ করা আমাদের দায়িত্ব। ভাড়া পরিশোধ যত সহজ হবে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য তত বাড়বে।ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ

বর্তমানে এমআরটি বা র‍্যাপিড পাসে যাতায়াত করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। ডিএমটিসিএলের তথ্য বলছে, মেট্রোরেলের ৫৫ শতাংশ যাত্রী র‍্যাপিড বা এমআরটি কার্ডে যাতায়াত করেন। বাকি ৪৫ শতাংশ ব্যবহার করেন একক যাত্রার কার্ড। দীর্ঘদিন ধরেই এমআরটি ও র‍্যাপিড কার্ডের সংকট চলছে। এ ছাড়া বর্তমান ব্যবস্থায় স্থায়ী কার্ডে টাকা শেষ হয়ে গেলে গ্রাহককে সাধারণত স্টেশনে গিয়ে রিচার্জ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে টাকা থাকলে অনায়াসে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া একক যাত্রার কার্ডের জন্যও লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়াতে হবে না। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাত্রীর চাহিদা মতো কার্ড বা টিকিট সরবরাহ করা আমাদের দায়িত্ব। ভাড়া পরিশোধ যত সহজ হবে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য তত বাড়বে।’ ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ অনেক দেশে এ ব্যবস্থা চালু আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাত্রীসংখ্যা বাড়ানো এবং যাত্রীদের সহজে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা যতটা বিস্তৃত করা যায় ততটাই ভালো। মানুষ কার্ড চাইছে আর কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারছে না—এর মতো বাজে দৃষ্টান্ত তো হতে পারে না। কর্তৃপক্ষ নতুন যে ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, তা সফল হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে।বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহনবিশেষজ্ঞ সামছুল হকদুর্ভোগ কমবে যাত্রীদের

শুরু থেকেই মেট্রোরেলের কার্ড সরবরাহ করছে জাপানের নিপ্পন সিগন্যাল কোম্পানি। প্রথম দিকে তারা একক যাত্রার কার্ড সরবরাহ করে ৩ লাখ ১৩ হাজার। এমআরটি কার্ড সরবরাহ করে ৭ লাখ ২৮ হাজারের মতো। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরোদমে মেট্রোরেল চালুর পরই এমআরটি ও একক যাত্রার সব কার্ড দ্রুত ফুরিয়ে যায়।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, এমআরটি পাস মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা আর কিনছে না। এর বদলে সরকারের আরেক সংস্থা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) র‍্যাপিড পাস কিনছে। তবে চাহিদা অনুসারে তারা কার্ড সরবরাহ করতে না পারার কারণে সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে একক যাত্রার অনেক কার্ড যাত্রীদের হাতে থাকা অবস্থায় বিকল হয়ে পড়েছে। কিছু কার্ড যাত্রীরা জমা না দিয়ে সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় একক যাত্রার কার্ডও পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ নতুন করে চার লাখ একক যাত্রার কার্ড কেনার ফরমাশ দেয়। এর মধ্যে দুই লাখের মতো কার্ড এসেছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহনবিশেষজ্ঞ সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা যতটা বিস্তৃত করা যায় ততটাই ভালো। মানুষ কার্ড চাইছে আর কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারছে না—এর মতো বাজে দৃষ্টান্ত তো হতে পারে না। কর্তৃপক্ষ নতুন যে ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, তা সফল হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেট্রোরেলে আরও সহজ হচ্ছে টিকিট কাটা ও ভাড়া পরিশোধ
  • মোবাইল অ্যাপে জানা যাবে সারাদেশের বাজারদর
  • কোরবানির সময় ট্যানারিতে আসা ৯৮ শতাংশ কাঁচা চামড়া দাগযুক্ত ছিল: সিপিডির গবেষণা
  • ইসরায়েলে ৮ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
  • চাঁদপুরে এক ইলিশ বিক্রি হলো ১৩ হাজার টাকায়
  • রাজধানীতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লোডশেডিং পরিস্থিতি
  • ইরানে মার্কিন হামলা, বিশ্ববাজারে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম
  • গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ কষ্টে আছে
  • আড়াইহাজারে গ্যাস সংকটে দেড় শতাধিক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত