শেষটা জিতেও অ্যাটলেটিকোর বিদায়, ঘুরে দাঁড়িয়ে নকআউট পর্বে পিএসজি
Published: 24th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বি গ্রুপের নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগোকে। তবে এই জয়ও যথেষ্ট হয়নি নকআউট পর্বে যাওয়ার জন্য। পিএসজি ও বোতাফোগোর সমান ৬ পয়েন্ট নিয়েও টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।
এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে বোতাফোগোর কাছে ১-০ গোলে হার মানা পিএসজি শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। এই জয়ে তারা বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে।
অ্যাটলেটিকোকে অবশ্য ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে। পিএসজিকে হারের স্বাদ দেওয়া বোতাফোগো ৮৬ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখে স্পেনের দলটিকে। কিন্তু ৮৭ মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমান গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। কিন্তু এই জয়ও তাদের জায়গা দিতে পারেনি নকআউট পর্বে। অন্যদিকে হেরেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ষোলোতে জায়গা পায় ব্রাজিলের ক্লাবটি।
আরো পড়ুন:
না জিতেও ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে মায়ামি
অনিশ্চয়তার মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ
এদিকে সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে দুই অর্ধে দুটি গোল করে ইউরোপ সেরা পিএসজি। ৩৫ মিনিটে কাভিচা কাভারাতসখেলিয়া গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। আর ৬৬ মিনিটে আশরাফ হাকিমি গোল করে নিশ্চিত করেন ২-০ ব্যবধানের জয়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল গ ল কর প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।
বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’