ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে গ্রেপ্তার ৭০০
Published: 25th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানে ১২ দিনের সংঘাতে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফারস জানায়, “এই ভাড়াটেরা মূলত গুপ্তচর ও নাশকতামূলক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিল। জনগণের অভিযোগ ও গোয়েন্দা অভিযানের ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ স্বীকার করেছে, তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে ইরানে গুপ্তচর ও গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে। ১৩ জুন এই অভিযানের সূচনা হয় ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে।
মোসাদ তাদের এজেন্টদের গোপন তৎপরতার ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়— তারা ইরানের ভেতরে ঘাঁটি তৈরি করে ড্রোন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই ঘটনায় ইরানের নিরাপত্তা মহলে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়। সরকার বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে “সমাজের মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার” অভিযোগ আনা হয়।
ফারস জানিয়েছে, ইরানের কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফারস এবং লোরেস্তান প্রদেশে এসব গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তবে রাজধানী তেহরানে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ইসরায়েলি এজেন্টকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল গ প তচরব ত ত গ র প ত র কর ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে নিরাপত্তা জোরদার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়, বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর সড়ক, লাল দীঘির পাড়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি রামু, লিংক রোড, কোর্ট বাজার ও উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি দপ্তর, পরিবহন টার্মিনাল এবং পর্যটন এলাকাগুলোতেও বিশেষ নজরদারি অব্যাহত আছে।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রুবায়েত হোসেন বলেছেন, “বর্তমানে কক্সবাজারে প্রতিটি যানবাহন তল্লাশির আওতায় আনা হয়েছে। আমরা সন্দেহভাজন গাড়িগুলোর কাগজপত্র, যাত্রীদের পরিচয় এবং মালামাল খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছি। শহরে প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রাফিক বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর আছে।”
তিনি আরো বলেন, “যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সেনাবাহিনী, র্যাব ও জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। জনগণ যেন নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন কঠোর তৎপরতায় এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর বা নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কক্সবাজার শহরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে, দূরপাল্লার বাসে বেশি যাত্রী চোখে পড়েনি।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক