চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ ‘সন্ত্রাসীকে’ আটক করেছে কোস্টগার্ড। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নতুন বাজারসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নিতে কোস্টগার্ডের গাড়িতে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আটক পাঁচজন হলেন, আবু নছর চৌধুরী (৪৪), আবদুল কাদের (৪০), মো.

জমির আহমদ (৫৫), মো. জিয়াউর রহমান (৫০) ও মো. সোহেল (২১)। তাঁরা সবাই বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। কোস্টগার্ড জানায়, তাঁরা স্থানীয় সন্ত্রাসী মনসুর বাহিনীর সদস্য।

কোস্টগার্ড জানায়, আজ ভোরে বাঁশখালী উপজেলার নতুন বাজারসংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। ওই সময় সন্ত্রাসীরা কোস্টগার্ডের গার্ডের বহনকারী গাড়ির ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আবার আটক ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৫টি ফাঁকা কার্তুজ ও ৮টি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা অস্ত্রের মুখে স্থানীয় জনগণকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে নানা ধরনের সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম চালাতো বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘আটক সন্ত্রাসীদের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সন ত র স

এছাড়াও পড়ুন:

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারো উত্তেজনা

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ট্রাম্প-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার কয়েকদিন পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

জুলাই মাসে পাঁচ দিন ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক দশকের মধ্যে সীমান্তে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে ৪৩ জন নিহত এবং তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের তত্ত্বাবধান করেন।

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি সোমবার থেকে  নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। কারণ ওই দিন সীমান্তে টহলরত একজন থাই সেনা স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি পা হারিয়ে ফেলে। 

থাইল্যান্ড বিস্ফোরণের জন্য কম্বোডিয়াকে দায়ী করেঅভিযোগ করেছে যে স্থলমাইনটি নতুনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর চুক্তির শর্তাবলী স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।

বুধবার দুই দেশের কর্মকর্তরাই থাইল্যান্ডের সা কাইও প্রদশে এবং কম্বোডিয়ার বান্তে মিনচে প্রদেশে গুলি বিনিময়ের কথা জানিয়েছেন।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমে প্রে চানে তিনজন বেসামরিক নাগরিক আহত এবং একজন নিহত হয়েছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই পদক্ষেপ মানবিক চেতনা এবং সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য সাম্প্রতিক চুক্তির পরিপন্থী।”

থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি জানিয়েছেন, “থাই ভূখণ্ডে গুলি চালানোর” জন্য কম্বোডিয়ার সেনারা দায়ী।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ