Prothomalo:
2025-11-13@11:55:49 GMT

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কে

Published: 13th, November 2025 GMT

মহাবিশ্ব যেন জীবন্ত এক সিনেমা। এই সিনেমায় একদিকে ছুটছে গ্রহাণুরা আর অন্যদিকে ধেয়ে যাচ্ছে নানা রঙের ধূমকেতু। কেউ কেউ বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়লেও অনেকেই হারিয়ে যায় বা লুকিয়ে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে একটি রহস্যময় ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা সৌরজগতের মধ্য দিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। অচেনা এই ধূমকেতুকে হাল আমলের আলোচিত আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।

নতুন এই ধূমকেতুর সামান্য কিছু সাদৃশ্য ৩আই/অ্যাটলাসের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, এটি আন্তনাক্ষত্রিক স্থান থেকে না এসে, সম্ভবত আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই উৎপন্ন হয়েছে। ৩আই/অ্যাটলাস আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে নতুন ধূমকেতুটি পর্যবেক্ষণ করে মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারকে রিপোর্ট করেন। এই সংস্থা সৌরজগতের নতুন গ্রহাণু, ধূমকেতু ও অন্যান্য ছোট বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে, ট্র্যাক করে ও রেকর্ড রাখে। আনুষ্ঠানিকভাবে সি/২০২৫ ভি১ (বোরিসভ) নামে পরিচিত এই নতুন ধূমকেতু প্রথম আবিষ্কার করেন ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বোরিসভ। ধূমকেতুটি ১১ নভেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে এবং ১৬ নভেম্বর এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি বিন্দুতে পৌঁছাবে। পৃথিবীর কাছে এলেও, এটি চাঁদ থেকে প্রায় ২৭০ গুণ দূরে, প্রায় ৬ কোটি ৪ লাখ মাইল দূরে থাকবে বলে জানা গেছে।

ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বোরিসভ আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু আবিষ্কারের জন্য সুপরিচিত। ২০১৯ সালে প্রথম আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ২আই/বোরিসভ খুঁজে পান তিনি। হার্ভার্ডের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী আভি লোয়েব আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাস নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি নতুন ধূমকেতুকে প্রায় আন্তনাক্ষত্রিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ধূমকেতুটির পথ সমতলের তুলনায় প্রায় ১১৩ ডিগ্রিতে অত্যন্ত ঝুঁকে আছে। এটি সাধারণ ধূমকেতুর চেয়ে আলাদা, এর গতিপথ আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাসের কক্ষপথের সঙ্গে প্রায় লম্ব। এটিতে সাধারণত দৃশ্যমান লেজ দেখা যাচ্ছে না।

নতুন আবিষ্কৃত ধূমকেতুটি খালি চোখে দেখা বেশ কঠিন। শক্তিশালী দুরবিন বা টেলিস্কোপ ছাড়া এটিকে দেখা যাবে না। বর্তমানে ধূমকেতুটি কন্যা রাশিতে অবস্থান করছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স রজগত র

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কে

মহাবিশ্ব যেন জীবন্ত এক সিনেমা। এই সিনেমায় একদিকে ছুটছে গ্রহাণুরা আর অন্যদিকে ধেয়ে যাচ্ছে নানা রঙের ধূমকেতু। কেউ কেউ বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়লেও অনেকেই হারিয়ে যায় বা লুকিয়ে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে একটি রহস্যময় ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা সৌরজগতের মধ্য দিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। অচেনা এই ধূমকেতুকে হাল আমলের আলোচিত আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।

নতুন এই ধূমকেতুর সামান্য কিছু সাদৃশ্য ৩আই/অ্যাটলাসের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, এটি আন্তনাক্ষত্রিক স্থান থেকে না এসে, সম্ভবত আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই উৎপন্ন হয়েছে। ৩আই/অ্যাটলাস আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে নতুন ধূমকেতুটি পর্যবেক্ষণ করে মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারকে রিপোর্ট করেন। এই সংস্থা সৌরজগতের নতুন গ্রহাণু, ধূমকেতু ও অন্যান্য ছোট বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে, ট্র্যাক করে ও রেকর্ড রাখে। আনুষ্ঠানিকভাবে সি/২০২৫ ভি১ (বোরিসভ) নামে পরিচিত এই নতুন ধূমকেতু প্রথম আবিষ্কার করেন ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বোরিসভ। ধূমকেতুটি ১১ নভেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে এবং ১৬ নভেম্বর এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি বিন্দুতে পৌঁছাবে। পৃথিবীর কাছে এলেও, এটি চাঁদ থেকে প্রায় ২৭০ গুণ দূরে, প্রায় ৬ কোটি ৪ লাখ মাইল দূরে থাকবে বলে জানা গেছে।

ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বোরিসভ আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু আবিষ্কারের জন্য সুপরিচিত। ২০১৯ সালে প্রথম আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ২আই/বোরিসভ খুঁজে পান তিনি। হার্ভার্ডের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী আভি লোয়েব আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাস নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি নতুন ধূমকেতুকে প্রায় আন্তনাক্ষত্রিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ধূমকেতুটির পথ সমতলের তুলনায় প্রায় ১১৩ ডিগ্রিতে অত্যন্ত ঝুঁকে আছে। এটি সাধারণ ধূমকেতুর চেয়ে আলাদা, এর গতিপথ আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাসের কক্ষপথের সঙ্গে প্রায় লম্ব। এটিতে সাধারণত দৃশ্যমান লেজ দেখা যাচ্ছে না।

নতুন আবিষ্কৃত ধূমকেতুটি খালি চোখে দেখা বেশ কঠিন। শক্তিশালী দুরবিন বা টেলিস্কোপ ছাড়া এটিকে দেখা যাবে না। বর্তমানে ধূমকেতুটি কন্যা রাশিতে অবস্থান করছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ