২০২০ সালে প্রেমিক চৈতন্যর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী নীহারিকা কোনিড়েলা। কিন্তু কিছুদিন পরই তাদের সংসার ভাঙার গুঞ্জন চাউর হয়। ২০২৩ সালে সমঝোতার মাধ্যমে আলাদা হয়ে যান এই যুগল।

এদিকে, গুঞ্জন উড়ছে দ্বিতীয়বার সংসার বাঁধতে যাচ্ছেন নীহারিকা। এ আলোচনাও বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন নীহারিকার বাবা অভিনেতা-প্রযোজক নাগা বাবু। ডেকান ক্রনিকলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়ের বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন এই বরেণ্য তারকা।  
 
নাগা বাবু বলেন, “আমি ও নীহারিকা প্রায়ই সবকিছু নিয়ে আলোচনা করি। আমি আমার বাচ্চাদের ক্যারিয়ারে কখনো হস্তক্ষেপ করিনি। আমার সন্তানদের সিনেমা হিট হোক বা ফ্লপ হোক, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। তাদের সুখই আমার কাছে প্রধান। তারা যদি খুশি না থাকে, তাহলে কোটি কোটি টাকা থেকে কী লাভ?”

পুত্র বরুণের ঘটনা টেনে নাগা বাবু বলেন, “বরুণ আমাকে বলল, সে লাবণ্য ত্রিপাঠিকে বিয়ে করতে চায়। আমি তাৎক্ষণিক প্রশ্ন করি, ‘তুমি কী তার সঙ্গে খুশি থাকবে? ভবিষ্যতে কী সমস্যা এড়াতে পারবে?’ বরুণ আমাকে আশ্বস্ত করে, লাবণ্যর সঙ্গে সে ভালো থাকবে। এরপর আমি তার বিয়েতে সম্মতি জানাই। বরুণের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, তারা এখন সুখী।”

আরো পড়ুন:

ট্রেন্ডিংয়ে ‘মাছের মানুষ’: বাবার নাম পাঙ্গাস খান, ছেলে রুইতন খান

মা হারালেন অভিনেত্রী অর্ষা

তবে নীহারিকার বিয়ের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন নাগা বাবু। এ অভিনেতার ভাষায়, “তবে নীহারিকার বিয়ের ক্ষেত্রে আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এই বিয়েতে আমাদের ভুল ছিল; আমরা সঠিকভাবে বিচার করতে পারিনি। আমরা জোর করে বিয়ে দিইনি। যখন বিয়ের প্রস্তাব আসে, তখন নীহারিকা ‘হ্যাঁ’ বলে দেয়। আমরা ভেবেছিলাম এটি ভালো হবে। কিন্তু তাদের বোঝাপড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। পারস্পরিক সিদ্ধান্তে তারা আলাদা হয়ে গেছে। তাদের একসঙ্গে থাকার জন্য আমি কখনো জোর করিনি। তারা একসঙ্গে সুখী ছিল না, একসঙ্গে থাকতে চায়নি। ফলে আমি তাদের এই সিদ্ধান্তেও রাজি ছিলাম। নীহারিকা এখন সিনেমা প্রযোজনায় ব্যস্ত। জীবনের কোনো এক সময় সে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে।”

নীহারিকার বাবা দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নাগা বাবু, নীহারিকার কাকা অভিনেতা চিরঞ্জীবী, পবন কল্যাণ, চাচাতো ভাই অভিনেতা রাম চরণ, ফুফাতো ভাই আল্লু অর্জুন। নীহারিকার প্রথম বিয়ের সময়েও তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন। 

টেলিভিশন শো উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন নীহারিকা। ২০১৬ সালে তেলেগু ভাষার ‘ওকা মানাসু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। পরের বছরই তামিল সিনেমায় অভিষেক হয় তার। 

নীহারিকা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘মাদ্রাসকারান’। গত ১০ জানুয়ারি মুক্তি পায় তামিল ভাষার এই সিনেমা। বর্তমানে ‘হোয়াট দ্য ফিস’ নামে তেলেগু ভাষার একটি সিনেমার কাজ নীহারিকার হাতে রয়েছে। পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে অনুমতি নিতেন শাহরুখ: শিবা

বলিউড অভিনেত্রী শিবা চাড্ডা নব্বই দশকের শেষের দিকে বলিউডে অভিষেক ঘটে। ‘দিল সে’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে ‘বাধাই দো’ ‘ডক্টর জি’-এর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। শাহরুখ খানের সঙ্গে বেশ কটি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। শাহরুখ তার কলেজের সিনিয়র। ৫২ বছর বয়সি শিবার চেয়ে ৮ বছরের বড় শাহরুখ। 

কয়েক দিন আগে সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবা চাড্ডা। এ আলাপচারিতায় শাহরুখের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

শিবা চাড্ডা বলেন, “দিল সে’ সিনেমায় আমার কোনো চরিত্রই ছিল না বলা যায়! এতটাই ছোট যে, আমি ভুলেই গেছি সেটা কী ছিল। সেই সময় ডালহৌসিতে শুটিং করতে গিয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা, এটাই ছিল বড় ব্যাপার। মণীষা কৈরালা তখন সেটে ছিলেন না। মূলত, ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য সেটের বাইরে ছিলেন, আর তুষারের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শুট ছিল। শাহরুখ-মণীষার হাঁটার দৃশ্য ছিল এটি। তখন পরিচালক মণি রত্নম এসে আমাকে বলেন, ‘আপনি কি মণীষার পোশাক পরে তার বডি ডাবল হিসেবে দৃশ্যটিতে হাঁটতে পারবেন?”

আরো পড়ুন:

‘সাইয়ারা’ সিনেমার সাফল্য: প্রথমবার মুখ খুললেন নায়িকা

কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট

শিবার কলেজে সিনিয়র ছিলেন শাহরুখ খান। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি ‘জিরো’ ও ‘রইস’ সিনেমায় তার (শাহরুখ) মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। অথচ শাহরুখ আমার কলেজের সিনিয়র। আমি এখন বুঝতে পারছি, হংস রাজ কলেজে তিনি আমার সিনিয়র ছিলেন। যদিও তাকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিইনি।”

একটি ঘটনা বর্ণনা করে শিবা চাড্ডা বলেন, “যখন ‘রইস’ সিনেমার শুটিং করছিলাম, তখন শাহরুখ দিল্লিতে কোনো একটি সাক্ষাৎকারে গিয়ে বলছিলেন, ‘রইস’ সিনেমায় একজন অভিনেত্রী আছেন, যে আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। উনাকে দেখুন, দারুণ অভিনয় করেছেন।’ অথচ আমাদের একটা দৃশ্যও একসঙ্গে ছিল না। শাহরুখ খুবই আলাদা ধরনের একজন মানুষ।”

শুটিংয়ে শিবার শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলেও অনুমতি নিতেন শাহরুখ। তার ভদ্র আচরণের ঘটনা বর্ণনা করে শিবা চাড্ডা বলেন, “আমার মনে আছে, আমাদের আলিঙ্গনের একটা দৃশ্য ছিল। দৃশ্যটি এমন ছিল—শাহরুখ মার খাচ্ছে, আমি তাকে রক্ষা করব। সিনেমাটিতে বামন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ। দৃশ্যের শুটিং শুরুর আগে, শাহরুখ আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি কি আপনাকে স্পর্শ করতে পারি?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ শাহরুখ খুবই দারুণ একজন মানুষ। আমি সেটে যাওয়ার আগেই আমার নাম জানতেন। সেই অনুভূতি একেবারেই আলাদা।”

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ত্রীর চরিত্র খারাপ বলায় পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা
  • শাকিবকে নিয়ে তিন সিক্যুয়েল
  • ছাত্র সংগঠনগুলোর বোঝাপড়ায় আসা উচিত ছিল: ঢাবি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আ
  • ভালোবেসে সংসার, বিদায়ও একসঙ্গে
  • স্টোরিতে জয়ের ছবি দিয়ে আলোচনায় শাকিব খান
  • শপিংমলে একসঙ্গে ‘সাইয়ারা’ জুটি আহান-অনীত, প্রেমের গুঞ্জন
  • ভারত কি চীনের সামুদ্রিক ‘উঠানে’ ঢুকে পড়ছে
  • শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে অনুমতি নিতেন শাহরুখ: শিবা