ঢাকা শহরে কিশোরীদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা পরিবারের সহযোগিতা না পাওয়া। ঘরের কাজ, যাতায়াতের অসুবিধা, নিরাপত্তাহীনতা ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাবেও মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পায় না। স্পোর্টস ফর প্রটেকশন রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (স্পিরিট) প্রকল্পের প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থা অলিম্পিক রিফিউজি ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় টেরে ডেস হোমস, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও সলিডারিটি যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং বৈঠকে প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

বৈঠকে বিশেষ অতিথি আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর পরিচালক মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ফুটবলে নারীদের সাফল্যে আমরা স্বপ্ন ও সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু মেয়েদের খেলাধুলায় ফান্ড না থাকা আশা ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফিরোজা করিম নেলী মেয়েদের খেলায় বরাদ্দ কম উল্লেখ করে বলেন, মেয়েদের খেলাধুলায় বরাদ্দ কম থাকাও একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা যে বরাদ্দ পায়, তা দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব নয়।

বৈঠকে স্পিরিট প্রকল্পের প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করে টেরে ডেস হোমসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুরোজিৎ কুণ্ডু জানান, ঢাকার পল্লবী থানার বাউনিয়া বাঁধ এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলায় স্পিরিট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল অসহায় শিশু ও তরুণদের জন্য নিরাপদ খেলাধুলার সুযোগ তৈরি এবং  মানসিক ও সামাজিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুত করা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়া প্রকল্পেটি শেষ হবে চলতি মাসে। প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, কিশোরীরা খেলাধুলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়। 
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.

সেলিম ফকির বলেন, নিরাপদ খেলাধুলা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ কাজে বরাদ্দ দেয়। তবে বাজেট স্বল্পতার কারণে যতটা প্রয়োজন ততটা করা সম্ভব হয় না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল প রকল প র বর দ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে ভিপি-জিএস প্রার্থী চূড়ান্ত 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা না দিলে ভিপি ও জিএস পদে কারা নির্বাচন করবেন, তা চূড়ান্ত করেছে।

ডাকসুর ভিপি পদে লড়বেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। আর জিএস পদে ঢাবি শাখার বর্তমান সভাপতি এসএম ফরহাদ।

সোমবার (১১ আগস্ট) ছাত্রশিবিরের একাধিক নেতা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

জবিতে র‍্যাগিংয়ের নামে ‘অমানবিক’ নির্যাতনের অভিযোগ

ইবিতে নবীনবরণ, র‍্যাগিং বন্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

শিবিরের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, মোট ২৮টি পদের জন্য পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করবে। এর মধ্যে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ও জিএস পদে এস এম ফরহাদের লড়াই নিশ্চিত। ছাত্রী সংস্থার নারী প্রার্থীরা প্যানেলের অংশ হিসেবে থাকবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান বলেন, “সাদিক এবং ফরহাদ ভাই দুজনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া আরো অনেকজনকে প্যানেলে আনার চেষ্টা চলছে। তবে ১৮ জনের সবাই নির্বাচনে থাকবেন না। খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা দেওয়া হবে।”

বিগত আওয়ামী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে সরকার দলীয় বাহিনী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাস রাজনীতিতে নতুন প্রাণ পেয়েছে সংগঠনটি। বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে আলোচনায় থাকলেও এবার তারা হিসাব কষে এগোতে চলেছে।

আসছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৮ সদস্যের মধ্যে সবাই শিবিরের থাকবেন না। তবে প্যানেলে থাকতে পারেন বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট, ছাত্রী সংস্থার নেত্রী এবং অমুসলিম প্রার্থীরাও। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত করা না হলেও শিবিরের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হবে ডাকসু নির্বাচন। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ হবে ১২ থেকে ১৮ আগস্ট।

মনোনয়নপত্র গ্রহণের সবশেষ তারিখ ১৯ আগস্ট। পরদিন ২০ আগস্ট ও ২১ আগস্ট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৬ আগস্ট প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ