রাজশাহীর এমকেএস স্পোর্টস তৈরি করছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ব্যাট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ক্রিকেট ব্যাট তৈরির অনুমোদন পেয়েছে এমকেএস স্পোর্টস। রাজশাহী নগরীর বারো রাস্তার মোড় এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এমকেএস স্পোর্টস নামের ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা। ২০০৪ সাল থেকে ক্রিকেট ব্যাটের প্রকৌশল নিয়ে কাজ করছেন রাজশাহীর ছেলে হুসাইন মোহাম্মদ আফতাব শাহীন। পরবর্তী সময়ে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন ইমরুল কায়েস ও মেহদী হাসান মিরাজ। দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের হাতে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাট শোভা পাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে ৬০ জনের বেশি কর্মী কাজ করছেন। ১৪টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে এখনকার ব্যাট।

২০২৪ সালে এমকেএস স্পোর্টসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ‘ব্যাট-ডক্টর’ হিসেবে শাহীনের অভিজ্ঞতা রয়েছে টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলির মতো তারকাদের ব্যাট নিয়েও কাজ করার। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ব্যাট নিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা মাঠে নামছেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট খাতকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ঘটছে। দেশে প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ১০–১২ লাখ ব্যাট বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। এই বাজারের আকার ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা। সেই খাতে দেশের তরুণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কাজ করছেন। এমনই এক প্রতিষ্ঠান এমকেএস স্পোর্টস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের নৈশভোজের আমন্ত্রণ কি গ্রহণ করলেন ইলন মাস্ক

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে আজ মঙ্গলবার এক নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নৈশভোজে টেসলার সিইও ও ট্রাম্পের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইলন মাস্ক অংশ নিতে পারেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পাঞ্চবোল নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজের। জ্বালানি তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

পাঞ্চবোল নিউজের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট জানিয়েছে, ওই নৈশভোজে বিখ্যাত গলফার টাইগার উডসও অংশ নিতে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুনট্রাম্পের সঙ্গে কোন বিরোধের কারণে প্রশাসন থেকে সরে গেলেন ইলন মাস্ক৩০ মে ২০২৫আরও পড়ুনএবার প্রকাশ্যে বিবাদে জড়ালেন ট্রাম্প ও মাস্ক০৬ জুন ২০২৫

তবে ইলন মাস্ক নৈশভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে একসময় বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছিলেন মাস্ক। নির্বাচনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের দায়িত্বও পান।

তবে গত জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের কর ও ব্যয় বিলকে কেন্দ্র করে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ডিওজিইর প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে নানা তির্যক মন্তব্য করেন।    

সে সময় ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মাস্ক। তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’

আরও পড়ুনট্রাম্প ও মাস্কের মধুর সম্পর্কে বিচ্ছেদ কেন, কী হবে এবার ০৬ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ