মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
Published: 18th, November 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ল্যাটিন আমেরিকার মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে তার সাফল্যপূর্ণ সামরিক অভিযান মেক্সিকোতেও সম্প্রসারণ করতে পারেন।
সোমবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “মাদক বন্ধের জন্য আমি কি মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান শুরু করব? আমার ক্ষেত্রে এটা ঠিক আছে। আমি মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনা করছি। তারা জানে আমি কেমন অবস্থানে আছি।”
আরো পড়ুন:
সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে রাজি ট্রাম্প
নর্থ ক্যারোলিনায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “মাদকের কারণে আমাদের দেশে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তাই এখন আমরা অভিযান চালিয়ে সমুদ্রপথে মাদক সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি, কিন্তু মাদক কার্টেলগুলোর প্রতিটি পথ আমরা জানি।”
ট্রাম্প বলেননি যে কখন এবং কীভাবে এই ধরনের হামলা চালানো হতে পারে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম এর আগেও তার দেশের মাটিতে এই ধরনের যেকোনো হামলার বিরোধিতা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাটিন আমেরিকান স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক জেফ গারমানি আল জাজিরাকে বলেন, “মেক্সিকো সিটির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ কেবল মুখের কথাতেই হয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি বাধা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অভ্যন্তরীণ এবং অন্যগুলো আন্তর্জাতিক। আন্তর্জাতিক কূটনীতির মৌলিক নীতিমালাও রয়েছে যা আইন দ্বারা আবদ্ধ না হলেও, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সাধারণত মেনে চলে।”
তিনি আরো বলেন, “কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা আসা ট্রাম্প সম্পর্কে এমন কিছু নিশ্চিত করে বলা যায় না যে, তিনি এই আইন এবং প্রোটোকল মেনে চলবেন। তাই, ট্রাম্প যদি মেক্সিকো সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়েই হামলা শুরু করে তাহলে এতে আমি অবাক হবো না।”
দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি দুজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায় যে, হোয়াইট হাউজ মেক্সিকোতে একটি স্থল অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অভিযান মেক্সিকোতে মাদক গুদাম ও কার্টেল সদস্যদের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
সোমবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প তার বক্তব্যে ইঙ্গিত দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই লক্ষ্যবস্তুর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রতিটি পথ জানি। আমরা প্রতিটি মাদক সম্রাটের ঠিকানা জানি। আমরা তাদের ঠিকানা জানি। আমরা তাদের সদর দরজা জানি। আমরা তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে সবকিছু জানি।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে ‘যুদ্ধের মতো’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তার দাবি, কার্টেলগুলো কোকেন, হেরোইন, মেথামফেটামিন এবং ফেন্টানাইলের মতো মাদক সরবরাহ করে লাখ লাখ আমেরিকানকে ‘হত্যা’ করছিল।
গারমানি আল জাজিরাকে বলেন, “মেক্সিকোতে মাদক কার্টেলগুলোর শক্তির কারণে মার্কিন হামলার প্রভাব খুব কম হতে পারে। ২০ বছর আগে মাদকের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করার পর মেক্সিকান সরকার নিজেই দীর্ঘস্থায়ী ও মারাত্মক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “মেক্সিকোর কার্টেলগুলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে সংগঠিত অপরাধমূলক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি। তাদের বিপুল সম্পদ রয়েছে এবং তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ল্যাটিন আমেরিকার বাকি অংশের মধ্যে অবস্থিত একটি অনন্য ভৌগোলিক অবস্থান দখল করে আছে। লক্ষ্যবস্তু সামরিক হামলা চালানো অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে জনসংযোগের জন্য একটি কৌশল হবে। কিন্তু এটি বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক অবৈধ মাদক সরবরাহ শৃঙ্খলগুলোর একটিকে থামাতে পারবে না।”
জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য নির্বাহী আদেশ ও আইনি ফাঁকফোকর ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি মাদক কার্টেলকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে মনোনীত করা, যার অর্থ হোয়াইট হাউজ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবে সামরিক হামলাকে ন্যায্যতা দিতে পারে।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে হোয়াইট হাউজ ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদক পরিবহনকারী নৌকাগুলোতে কমপক্ষে ২০টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে ট্রেন ডি আরাগুয়ার মতো মাদক কার্টেলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এখনও জনসমক্ষে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র সরবর হ আম র ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম
শীতের আগাম সবজি হিসেবে বাজারে এসেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। মৌসুমের শুরুতে দাম স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বেশি থাকলেও সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম ইতিমধ্যে কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি পিছ ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সরবরাহ বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এসব সবজির দাম আরও কমবে। ভরা মৌসুমে খুচরা পর্যায়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম কমে ১০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে নেমে আসে।
সরকারি তথ্য বলছে, দেশে গত তিন বছরে ফুলকপির উৎপাদন বেড়েছে ১৪ শতাংশ এবং বাঁধাকপির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। উৎপাদন বাড়লেও মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে। প্রথম দিকে যেসব ফসল আসে, সেগুলো সাধারণত আকারে ছোট হয়। তবে বাজারে সরবরাহও তুলনামূলকভাবে কম থাকা এবং আগাম সবজির বিষয়ে মানুষের আগ্রহ থাকায় দাম বাড়তি থাকে।
ফুলকপি শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। রান্না তরকারি, ভাজি, স্যুপ, হালকা সেদ্ধ কিংবা সালাদ হিসেবে এটি খাওয়া যায়। বাঁধাকপিও ভাজি, স্যুপ ও সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। শীত মৌসুমে স্বাদের দিক থেকেও এ দুটি সবজি অনেকেরই পছন্দ।
উৎপাদন কেমনকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২২–২৩ অর্থবছরে দেশে ১৩ লাখ ১২ হাজার টন ফুলকপি উৎপাদন হয়েছিল। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে উৎপাদন বেড়ে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টন হয়। সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ফুলকপি উৎপাদন আরও বেড়ে ১৫ লাখ টনে ওঠে।
অন্যদিকে ২০২২–২৩ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টন বাধাঁকপি উৎপাদন হয়। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন হয়। গত অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার টন হয়েছে। অর্থাৎ গত কয়েক বছর ধরে টানা ফুলকপি ও বাঁধাকপির উৎপাদন বাড়ছে।
বাঁধাকপির চেয়ে বেশি জমিতে ফুলকপি চাষ হয়। যেমন, গত অর্থবছরে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছিল, যেখানে বাধাঁকপি চাষ হয়েছিল ৪৪ হাজার হেক্টরে। উৎপাদনের দিক থেকেও ফুলকপি এগিয়ে।
ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ ও ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গত দুই বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তাঁরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে এই সবজি দুটির চারা লাগিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশা, এ বছর শীত মৌসুমেও ভালো ফলন ও দাম পাওয়া যাবে।
এখন আসছে আগাম ফলনকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সম্প্রসারণ) এইচ এম মনিরুজ্জামান জানান, সাধারণত আগস্টের শেষ কিংবা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে বারি (শীতকালীন) ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ শুরু হয়। প্রথমে বীজ বপন করে চারা গাছ তৈরি করা হয়। ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর সেই চারা রোপণ করা হয়। সাধারণত চারা লাগানোর পরে তা বিক্রির উপযোগী হতে ৮০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। অনেক সময় বাজারে দাম বাড়তি থাকলে ১৫ থেকে ২০ দিন আগেও (ছোট অবস্থায়) ফসল তুলে বিক্রি করেন কৃষকেরা।
আগস্টের শেষ কিংবা সেপ্টেম্বরে যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করা হয়, সেগুলো হচ্ছে আগাম ফসল। বর্তমানে এই আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে আসছে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এসব আগাম সবজি বাজারে আসবে। এরপর মৌসুমের মূল সবজি আসা শুরু করবে।
সাধারণত মৌসুমের শুরুতে কোনো সবজি এলে (আগাম) সেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এতে কৃষক, আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ী—সবাই লাভবান হন। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারও কৃষকেরা আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন।
আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারে কিছুটা ছোট হয়। বড় হওয়ার আগেই কৃষকেরা এগুলো তুলে বাজারে আনেন। যেমন, বর্তমানে যেসব ফুলকপি বাজারে আসছে, সেগুলোর ওজন ৪০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মধ্যে। ভরা মৌসুমে এক থেকে দেড় কেজি কিংবা তারও বেশি ওজনের ফুলকপি বাজারে আসে। বর্তমানে যেসব বাঁধাকপি আসছে, সেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে। পরবর্তী সময়ে দেড়–দুই কেজি আকারের বাঁধাকপি বাজারে আসবে।
চাষ কোথায় বেশিকৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলা থেকে ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ বেশি আসছে। ভরা মৌসুমে এসব এলাকার পাশাপাশি মানিকগঞ্জ ও সাভারসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সবজি দুটির সরবরাহ আসবে।
বিভিন্ন প্রজাতির ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ফুলকপির ভালো জাতগুলোর মধ্যে বারি ফুলকপি-১ (রুপা), বারি ফুলকপি-২, ৩ ও স্নো হোয়াইট উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া হোয়াইট ফ্লাশ ২০২০ ও অটাম জায়ান্ট হাইব্রিড জাতও রয়েছে। বাঁধাকপির জাতের মধ্যে আছে বারি বাঁধাকপি-১ ও বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত)। আইপিএসএ বাঁধাকপি-১ গ্রীষ্মকালেও চাষ হয়।
ঢাকায় সরবরাহ ও পাইকারি দামগত শুক্র ও শনিবার রাতে কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসছে।
কারওয়ানবাজারের আড়তদার আবদুল কাদির ভূইয়া প্রতিবছর শীত মৌসুমে ফুলকপির ব্যবসা করেন। তিনি জানান, বর্তমানে ব্যাপারীর কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে প্রতি পিছ ফুলকপি কিনছেন তাঁরা। এরপর সেগুলো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। এই ফুলকপি আরও এক-দুই হাত ঘুরে খুচরায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপির দামও অনেকটা এমন।
অবশ্য অনেক কৃষক সরাসরি ঢাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি নিয়ে আসছেন। যেমন, যশোর সদরের নোঙ্গরপুর গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার এ বছর সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে দেড় বিঘা জমির আগাম বাঁধাকপি কেটে বিক্রি করেছেন। ব্যাপারীদের মাধ্যমে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় কম। সে কারণে গত মঙ্গলবার নিজেই ট্রাক ভাড়া করে বাঁধাকপি কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন।
আবদুস সাত্তার বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রতি পিছ বাঁধাকপি ৩৩ টাকা করে বিক্রি করেছি। এর সঙ্গে ট্রাক ভাড়া, শ্রমিক মজুরি যোগ হবে। তবে ব্যাপারীদের মাধ্যমে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যেত মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা। সব মিলিয়ে আগাম বাঁধাকপি বিক্রি করে এখন ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি। তাঁর আশা, ভরা মৌসুমেও মোটামুটি ভালো দাম থাকলে এ বছর মুনাফা করতে পারবেন; না হয় চাষের খরচ উঠে আয়-ব্যয় সমান সমান থাকবে।