তামিম বললেন, বাংলাদেশের প্রথম হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলা মুশফিকেরই প্রাপ্য
Published: 18th, November 2025 GMT
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামীকাল টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহমানের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি হবে শততম ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়বেন মুশফিক।
মুশফিকের সাবেক সতীর্থ তামিম ইকবাল মনে করেন, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলকে পৌঁছানোর কৃতিত্ব সবার আগে মুশফিকেরই প্রাপ্য। এই কীর্তি তাঁর চেয়ে আর কেউ বেশি ‘ডিজার্ভ’ করেন না বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
তামিমের ভেরিফায়েড অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ করা পোস্টে লেখা হয়, ‘তোকে নিয়ে বলার আছে অনেক কিছু্ই। সেই ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে, বিভিন্ন পর্যায়ে, রুমমেট ছিলাম অনেকবার। কাছ থেকে দেখেছি তোকে। কোনো একসময় কোনো এক উপলক্ষে কোনো প্ল্যাটফর্মে নিশ্চয়ই বলব সবকিছু। তবে আজকের দিনের জন্য শুধু একটিই কথা, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক তোর চেয়ে বেশি আর কেউ ডিজার্ভ করে না। আশা করি, ভবিষ্যতে এই অর্জনে তোর পাশে নাম লেখাবে আরও অনেকেই। কিন্তু তুই প্রথম, এটা তোরই প্রাপ্য।’
মুশফিকের সঙ্গে তামিমের খেলার শুরু অনূর্ধ্ব-১৫ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে। তারপর ধাপে ধাপে বেড়ে উঠেছেন দুজন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানে সবার ওপরে তাঁরা দুজন। ৫৩১ ইনিংসে ১৫৬৪৬ রান নিয়ে শীর্ষে মুশফিক। ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান নিয়ে দুইয়ে তামিম। টেস্ট ক্রিকেটেও তাই—মুশফিক রানে শীর্ষে, তামিম দুইয়ে। ওয়ানডেতে অবশ্য তামিম শীর্ষে, মুশফিক দুইয়ে।
চলতি বছরের মার্চে মুশফিক ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার পর ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় মুশফিককে ১০০ টেস্ট খেলতে দেখার প্রত্যাশা জানিয়েছিলেন তামিম, ‘এখনো তুই একটি সংস্করণে খেলবি—টেস্ট সংস্করণ। আমি সত্যিই আশা করি ও প্রার্থনা করি, তুই ভালো কর। অন্তত ১০০টি টেস্ট খেল, যেটা বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটার খেলে নাই। আমি এটা আশা করব, ১০০তম টেস্ট অবশ্যই খেলবি।’
মুশফিক আজ যখন সেই মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে তখন শুধু তামিম নয়, আরও অনেকের শুভেচ্ছা বার্তাই পাচ্ছেন। যেমন বাংলাদেশ দলের সাবেক অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে কাজ করা এই ভারতীয় অ্যানালিস্ট এখন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সঙ্গে আছেন।
মুশফিককে শুভেচ্ছা জানিয়ে শ্রীনিবাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা পোস্টে লেখা হয়, ‘মুশি ভাই! ১০০ টেস্ট। অবিশ্বাস্য এক মাইলস্টোন। পরিশ্রম, কঠোরতা ও শৃঙ্খলা—এ সবকিছুর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গর্বের সঙ্গে বয়ে চলছ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। দেশের প্রথম হওয়ায় এটা আরও আইকনিক হয়ে উঠেছে। এগিয়ে যাও চ্যাম্প! তুমি চারপাশে সবার প্রেরণা। বিশেষ এই দিনে সেখানে থাকতে পারলে ভালো লাগত। অবিস্মরণীয় করে তোলো।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০০ ট স ট খ ল ল দ শ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রায়ে ন্যায়বিচার হয়েছে, স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়েছে, দেশে স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাইলটের ভুলে মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন
মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, “এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়েছে, মজলুম জনতার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এই রায় আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে জনতার ওপরে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদ অনেক বিস্তৃত অপরাধচক্র গড়ে তুলেছিল। সেই চক্রের প্রধান সম্পর্কে একটি মামলার রায় হলো। পর্যায়ক্রমে সব অপরাধীকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শহীদ পরিবার ও আহতদের প্রতি আমাদের সন্মান ও বেদনা আবারো ব্যক্ত করছি।”
তিনি আরো বলেন, “আইন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি। আইনের নিজস্ব গতি ও ধারাতেই সব অপরাধের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করবো, রায় ঘোষিত হওয়ার পরে এখন আবশ্যকীয় সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুততার সঙ্গে রায় বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মহাসচিব বলেন, “আজকের দিন আমাদের জন্য আনন্দের। এই দিনে আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করব। দেশবাসী কাউকে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেও দেবে না এবং আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো কোনো কাজ কেউ করবেন না।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী