নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গ্রেপ্তার জাহেদ হাসান (৩৭) উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরফকির গ্রামের জাহেদের বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমর ছেলে। 

শনিবার (২৮ জুন) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু। 

এর আগে, একই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভক্তপুর ইউনিয়নের সাঁকোতলা বাজারে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৭। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন সন্তানের জনক জাহেদ ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশি। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ভিকটিম বসত বাড়ির সাথে ধানের মাঠে যায়। ওই সময় জাহেদ ঘন কুয়াশার মধ্যে কিশোরীর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে অপহরণ করে চট্টগ্রামের কাপ্তাই নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। 

ভিকটিম আসামিকে ধর্ষণে বাধা দিলে আসামি ধারালো ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ে জখম করে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষণ করতে থাকে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়া আসামি কিশোরীকে নদীতে এবং ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। দীর্ঘদিন ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে গর্ভজাত সন্তান নষ্ট ও হত্যা করা হয়। 

গত ১৮ জুন দুপুর ১ টার দিকে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায় আসামি।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “ঘটনার পরপরই ভিকটিমের মা-বাবা হাতিয়া থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ