৫ মাস আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
Published: 29th, June 2025 GMT
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তার জাহেদ হাসান (৩৭) উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরফকির গ্রামের জাহেদের বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমর ছেলে।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু।
এর আগে, একই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভক্তপুর ইউনিয়নের সাঁকোতলা বাজারে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ ও র্যাব-৭।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন সন্তানের জনক জাহেদ ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশি। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ভিকটিম বসত বাড়ির সাথে ধানের মাঠে যায়। ওই সময় জাহেদ ঘন কুয়াশার মধ্যে কিশোরীর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে অপহরণ করে চট্টগ্রামের কাপ্তাই নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে।
ভিকটিম আসামিকে ধর্ষণে বাধা দিলে আসামি ধারালো ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ে জখম করে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষণ করতে থাকে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়া আসামি কিশোরীকে নদীতে এবং ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। দীর্ঘদিন ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে গর্ভজাত সন্তান নষ্ট ও হত্যা করা হয়।
গত ১৮ জুন দুপুর ১ টার দিকে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায় আসামি।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “ঘটনার পরপরই ভিকটিমের মা-বাবা হাতিয়া থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/সুজন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অপহৃত ছাত্র নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অপহৃত মাদরাসা ছাত্র ফজলুল করিমকে (২০) পাঁচদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপরহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়কে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আনা হয়।
উদ্ধার হওয়া ফজলুল করিম জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মোহল্লা গ্রামের এম এ কাইয়ুম মিয়ার ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজনগরের মলাই ঢালীর বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন।
আরো পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮ পুলিশ স্বপদে, উত্তাল বেরোবি
মাগুরায় হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা
গ্রেপ্তার তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয় নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মিজানের ছেলে।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে ফজলুল করিমকে অপহরণ করা হয়। পরে ফজলুল করিমের বাবা এম এ কাইয়ুম মিয়ার ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করেন অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় এম এ কাইয়ুম প্রথমে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) এবং গত ২৫ জুন সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পরই ভিকটিমকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। র্যাবের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “বাবার অসুখের কথা বলে ফজলুল করিমকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। পরে অপহৃতের বাবার ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করেন তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুত্তির মাধ্যমে আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপরহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ