চিকিৎসা শেষে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে দুজন শিক্ষার্থী আজ ছুটি পাচ্ছে
Published: 26th, July 2025 GMT
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন শিক্ষার্থী জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছুটি পাচ্ছে। আজ শনিবার যেকোনো সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে দেওয়া হবে। ইনস্টিটিউটের একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এটা জানা গেছে।
এই প্রথম মাইলস্টোনের কোনো শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। যারা হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছে তাদের একজনের নাম রাফসি। অন্য জনের নাম আয়ান। এদের দুজনের বয়স ১২ বছর। তবে তারা কে কোন ক্লাসে পড়ে তা চিকিৎসকদের জানা নেই।
এই দুই শিশু শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় যুক্ত আছেন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক অধ্যাপক ফোয়ারা তাসমীম। বেলা একটায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাফসি ও আয়ানের পোড়া তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তাদের জটিলতাও তেমন ছিল না। তাই তাদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশু দুটি নিজেরাই বাড়ি ফেরার জন্য উদ্গ্রীব।’ দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা এই দুজনকে ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
দুপুরে জাতীয় বার্ন অন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে শিক্ষার্থী দুজনের ছুটি দেওয়ার প্রস্তুতি চোখে পড়ে। কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে, বড় ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শিক্ষার্থী দুজনকে ছুটি দেওয়া হবে।
বেলা একটার সময় ইনস্টিটিউটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত রোগী ছিল ৩৮ জন। রাফসি ও আয়ান বাড়ি চলে গেলে রোগীর সংখ্যা হবে ৩৬।
সকালে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দগ্ধ শিশুসহ দুজন মারা যান। তাঁদের একজন মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী, অন্যজন কর্মচারী। দুজনই রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন মারা গেল। আর এ ঘটনায় মোট মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হলো ৩৫।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ