‘অনেক বড় একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। আমরা আমাদের অনেক ছোট ভাই-বোনদের হারিয়েছি। এটা খুবই কষ্টের। কখনো ভোলার মতো নয়। অনেকেই ওই ঘটনায় এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কিন্তু থেমে থাকলে তো চলবে না। আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে।’

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ই-বয়েস শাখার শিক্ষার্থী রেজাউল মাহি এ কথাগুলো জানিয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রথম আলোর সঙ্গে মাহির কথা হয়। ওই সময় কলেজের একাডেমিক ভবনের আট তলার ৮০৩ নম্বর কক্ষে তাদের পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাস চলছিল।

রেজাউল মাহি প্রথম আলোকে বলে, ‘আমরা ক্লাসে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আজকে থেকে আমাদের ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করছি, আস্তে আস্তে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে। আজকে যারা যারা ক্লাসে এসেছে, সবাই স্বাভাবিকভাবেই ক্লাস করছি, মনোযোগ দিচ্ছি।’

আরও পড়ুনযুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ১৫ দিন পর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে পাঠদান শুরু৪ ঘণ্টা আগে

রেজাউল মাহির শাখায় মোট শিক্ষার্থী ৩৯ জন। আজ শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত ছিল ২৮ জন। বাকি ১১ জন অনুপস্থিত ছিল।

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ঠিক ১৫ দিন পর আজ উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু হয়েছে কলেজ শাখার (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) পাঠদান। আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে যথারীতি ক্লাসে অংশ নেয়।

কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বলছেন—এত বড় দুর্ঘটনা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অনেকেই এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তবে তারা স্বাভাবিকভাবে শ্রেণি কার্যক্রমে ফেরার চেষ্টা করছেন।

কলেজের শিক্ষিকা ফারজানা রহমান লোপা প্রথম আলোকে বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিকভাবে ক্লাসে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাসায় থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যাদের সমস্যা ছিল, ট্রমা ছিল, তাদের স্কুলে কাউন্সেলিং করানো হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক হওয়ার এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁর ক্লাসে (দ্বাদশ সি-গার্লস) যারা উপস্থিত, তারা সবাই ভালো আছে।

ইউনিফর্ম পরে, ব্যাগ কাঁধে ক্লাসে এসেছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। গল্প করছে সহপাঠীরা। ৬ আগস্ট, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ম ইলস ট ন কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম।  

রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সকল ধর্মই আমাদের অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়।  আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।’’ 

শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য  দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।’’ 

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। একইসঙ্গে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে  সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন। 

অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের  সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ