রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে এ তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৫ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৫ হাজার ৪৪০ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৯ হাজার ৬৮৭ জন। মোট ভোটারের মধ্যে ৬১ শতাংশের বেশি ছাত্র এবং ৩৮ শতাংশের মতো ছাত্রী।

আরো পড়ুন:

রাবিতে বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮৩ শিক্ষার্থী

বহিরাগতদের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পা ভাঙল রাবি শিক্ষার্থীর, প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছাত্রদের মধ্যে শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলে ভোটার ৯৭২ জন, শাহ মখদুম হলে ১২৪৭ জন, নওয়াব আব্দুল লতিফ হলে ৮১৭ জন, সৈয়দ আমীর আলী হলে ৯৮৮ জন, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ১০৩৫ জন, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ২৩৯৮ জন, মতিহার হলে ১৬১৮ জন, মাদার বখ্শ হলে ১৫৭৩ জন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৫৪২ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ১৯৪৭ জন এবং বিজয় ২৪ হলে ১৩০৩ জন ভোটার রয়েছে।

ছাত্রীদের মধ্যে মন্নুজান হলে ভোটার ২০০৭ জন, রোকেয়া হলে ১৮১৬ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ১০৩৭ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ১১২৭ জন, রহমতুন্নেসা হলে ১৫৪৭ জন এবং জুলাই ৩৬ হলে ২১৫৩ জন ভোটার রয়েছে।

খসড়া ভোটার তালিকাটি রাকসুর ওয়েবসাইট (https://www.

ru.ac.bd/rucsu/ ) এবং সংশ্লিষ্ট আবাসিক হলগুলোর নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাচ্ছে। এই তালিকায় কারও কোনো আপত্তি থাকলে ১২ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবাসিক হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ