বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় কৃষক দলের সভাপতিসহ আহত ৩
Published: 15th, November 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের বিএনপি মনোনিত এমপি প্রার্থী মাসুদজ্জামান মাসুদের ফেস্টুনের উপর সতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ফেস্টুন লাগানোকে কেন্দ্র করে বন্দরে মুছাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি কামাল হোসেন (৪৮)-এর ওপর সন্ত্রাসী হামলা, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় তিনি ১১ জনকে বিবাদী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ প্রেমতলা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে বিএনপি মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ–এর একটি নির্বাচনী ফেস্টুন স্থাপন করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী গত ১৩ নভেম্বর রাতে ওই ফেস্টুনের ওপর বিবাদীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের নির্বাচনী ব্যানার জোরপূর্বক সেঁটে দেয়।
অভিযুক্তরা হলেন— মাকসুদ হোসেন (৫৮), তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (৩৫), মাইনউদ্দিন (৩৮), বিল্লাল (৩২), পানাউল্লাহ (৩৬), মাসুদ (৩৪), নাদিম (২৮), বিল্লাল (৩৫), নুর আলম (৩৪), রুবেল (৩৪), এবং রিয়াজুল (৩২)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে গণসংযোগকালে ব্যানার অপসারণের বিষয় নিয়ে মাইনউদ্দিন ও বিল্লালের সঙ্গে কামাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর একই দিন রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার সময় বন্দর থানার বাজুরবাগ এলাকার রুমান মিয়ার ফার্মেসীর সামনে পৌঁছালে মাকসুদ হোসেন ও মাহমুদুল হাসান শুভ’র নির্দেশে সকল বিবাদী দেশীয় অস্ত্র—রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, রড ও লাঠি–সোঠা নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় কামাল হোসেনসহ তাঁর সঙ্গে থাকা মহিউদ্দিন (৩৫) এবং শাকিল (৩২) গুরুতর জখম হন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে তাদের রক্তাক্ত জখম করে।
হামলার এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা কামাল হোসেনের ৩২ হাজার টাকা, আহত মহিউদ্দিনের ৭ হাজার ৮২০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন, আহত শাকিলের ৪ হাজার ২৭০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় লোকজনের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
পরে আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগকারী কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আমাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়।”
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এক হাজার টাকায় না’গঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের ব্যানারে আগুন, আটক ১
মাত্র ১ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতে আঁধারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের ব্যানার-ফেস্টুনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মো.রিয়াজ (৩২) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানীনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটান। আটককৃত দুষ্কৃতিকারী সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের বেহাকৈর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত ফুটওভার ব্রিজের উপর টানানো জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বেশ কয়েকটি ব্যানারে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারীরা। এসময় আগুন পুরো ফুটওভার ব্রিজে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে।
পরে তারা সেখানে এগিয়ে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায় তবে রিয়াজ হোসেন নামে এক যুবক জনতার হাতে ধরা পড়ে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে অভিযুক্ত যুবক রিয়াজকে আটক করে।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ স্বীকার করেন অপরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া এক হাজার টাকার বিনিময়ে বিএনপি নেতা মামুন মাহমুদের ব্যানারগুলোতে আগুন ধরায়।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘ফুট ওভার ব্রিজের উপর আমার কয়েকটি ব্যানারে আগুন দেয়ার সময় স্থানীয় একজন পথচারী দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আগুন দেওয়ার সময় স্থানীয়রা একজনে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
তবে কে বা কারা এই নাশকতা করেছে আমি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নই। এর আগেও কাঁচপুর ব্রিজের নিচে টানানো আমার আরেকটি বিলবোর্ড খুলে ফেলা হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করছি’।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘আটক ব্যক্তি আগুন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন অপরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া এক হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি ফুটওভার ব্রিজের উপর টানানো ব্যানারগুলোতে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়েছেন।
আটক ব্যক্তি আরও বলেছেন তার সঙ্গে থাকা আরেকজন ব্যক্তি ব্যানারে কেরোসিন তেল ঢেলে দেন এবং তিনি আগুন ধরান। তবে তার সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় তিনি জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আরও বলেন, আগুন দেয়ার ঘটনায় আর কারা জড়িত ছিলের তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আটক ব্যক্তি রিয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।