ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না: জহির উদ্দিন
Published: 15th, November 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা না গেলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “দেশের মোট দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের ৩২ শতাংশই ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী। এদের মধ্যে রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। কিন্তু সড়কে প্রাণহানির কারণে আমরা সেই সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলছি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা না গেলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে খুলনার সার্কিট হাউজে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু, ট্রাকে আগুন
ধামরাইয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
তিনি বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কারণে ঘটে না। দুর্বল সড়ক ব্যবস্থা, অদক্ষ চালক, পথচারীর অসচেতনতা এবং আইন অমান্য-সব মিলেই ঘটে। এ অবস্থা থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “সড়কের মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। অতীতের মতো আমরা আবারো উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। যেমন- এই জাতি করেছে ৫২, ৭১ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে।”
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, “পেশাদার গাড়িচালকদের দক্ষতা বাড়াতে মাস্টার ট্রেইনার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অচিরেই সারাদেশের চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে দক্ষ চালক তৈরির কার্যক্রম শুরু হবে।”
সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হলে ৩০ দিনের মধ্যে বিআরটিএর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, “এ বিষয়ে বিআরটিএ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।”
খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশের সভাপতিত্বে ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর উপ-পরিচালক (ইঞ্জি.) তানভীর আহমেদ, খুলনা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) উসমান সরওয়ার আলম, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) লায়লাতুল মাওয়া, মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা মোটর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক বাবুল হোসেন, ইয়াসিন মোল্লা, খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদ খান এবং ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ফজলুল হক মনি।
অনুষ্ঠানে খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের স্ত্রী সানজিদা ইয়াসমিন সেতু ও মোসা. আকলিমা এবং বাগেরহাটের রিক্তা পারভিন ও মনোয়ারা বেগমকে প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী