বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি জুয়েলারি দোকান থেকে চুরি হওয়া ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার আড়ুয়াবরনী গ্রামের এমাদুল খানের বাড়ি থেকে এসব স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘‘গত ৪ আগস্ট রাতে উপজেলার সদর বাজারের নিউ মন্ডল জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানের সিন্ধুক কেটে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এ ঘটনায় দোকান মালিক তাপস মন্ডল অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।’’

আরো পড়ুন:

শিবচরে বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

চবি শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলা, প্রধান ফটকে তালা

তিনি আরো বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে পুলিশ একই বাজারের চা দোকানি এমাদুল খানকে আটক করে। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল বসু ও লোহা ব্যবসায়ী শুভ্র বসুকে আটক এবং চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এই তিনজনকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’’

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবাসীদের হয়রানি

বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি কোনো নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবণতা বিদ্যমান থাকলেও এর পরিবর্তনে এখনো তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না।

দূর প্রবাসে কঠোর পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন যে লাখ লাখ প্রবাসী, দেশে ফেরার পথে কিংবা প্রবাসে আসার সময় তাঁরাই বারবার বিভিন্ন ধরনের অযৌক্তিক হয়রানির শিকার হন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, চেকিংয়ের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ, প্রয়োজনহীন প্রশ্ন, কৃত্রিম জটিলতা সৃষ্টি এবং বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ইমিগ্রেশন বিভাগে অপ্রয়োজনীয় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে। ফলে কেউ কেউ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, এমনকি ফ্লাইট মিস করার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও ঘটে।

বিশেষ করে যাঁরা শ্রমনির্ভর পেশায় নিয়োজিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে, তাঁদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অথচ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো তাঁদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তবে সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, সৎ ও আইন মেনে চলা প্রবাসীরা যেন কোনোভাবেই অযথা হয়রানির শিকার না হন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর, সুদৃশ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ আমরা প্রত্যাশা করি।

এম কামিল আহমেদ

শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ