প্রসেনজিতের কথা শুনে কাঁদলেন চঞ্চল
Published: 15th, August 2025 GMT
বাংলাদেশি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে পছন্দ করেন পশ্চিমবঙ্গের তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এর আগেও নানা সময়ে চঞ্চলের প্রশংসা করেছেন, চঞ্চল কলকাতায় গিয়ে প্রসেনজিতের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেছিলেন। এবার এক ভিডিও বার্তায় চঞ্চলকে প্রশংসায় ভাসালেন প্রসেনজিৎ, যা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন চঞ্চল।
মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘স্টার নাইট’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। সেখানেই পর্দায় চঞ্চলকে দেখানো হয় প্রসেনজিতের ভিডিও বার্তা। যেখানে তিনি বলেন, ‘আজ যে মানুষটিকে নিয়ে কথা বলব, সে আমার মনের মানুষ। ওর অভিনয় নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা হয়তো আমার নেই, কিন্তু “মনপুরা” ছবিতে ওর কাজ আমাকে মুগ্ধ করেছিল। পরে শুনলাম আমরা একসঙ্গে “মনের মানুষ” করব—খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন‘পদাতিক’–এ চঞ্চল চৌধুরী তাঁর যথার্থতা প্রমাণ করেছেন ১৮ আগস্ট ২০২৪অভিনেতা আরও বলেন, ‘“পদাতিক” দেখে আমি আপ্লুত হয়েছিলাম। মৃণাল সেনের চরিত্রে এমন অভিনয় সহজ নয়। ও যদি আমার থেকে ছোট না হতো, হয়তো পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম।’ প্রসেনজিতের মুখে এই কথা শুনে আবেগ সামলাতে পারেননি চঞ্চল। তাঁরও তখন চোখ ঝাপসা।
‘পদাতিক’–এ চঞ্চল চৌধুরী। ছবি : নির্মাতার ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।