সব সংস্কারকে টেকসই করার জন্য নির্বাচনের আগে সংবিধান সংস্কারে কমিশন ঘোষণা দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী। তিনি বলেছেন, আগামী সংসদ হবে সংবিধান সংস্কারের সংসদ। সেই সংসদকে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য জনগণ এখতিয়ার দেবে। আর এতেই সংস্কার টেকসই হবে।

আজ শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরের অশ্বিনীকুমার টাউন হলে গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটির দ্বিতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে একদল উগ্রপন্থী আবার কর্তৃত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তারাও ক্ষমতায় গিয়ে পাল্টা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা পরিষ্কার করে বলি, হাসিনাকে আমরা তাড়িয়েছি। আবার অন্য কোনো নাম নিয়ে, ধর্মের নাম নিয়ে যদি কেউ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়, বাংলাদেশের মানুষ সেটা মানবে না। আমাদের অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠিত হতে হবে।’

গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই দেশের বিচারব্যবস্থা, সংস্কার ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এখনকার কর্তব্য। যারা হত্যা করেছে, যেসব দল এসব হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমাদের কথা একটাই—এই দেশের নীতি, রাষ্ট্রীয় নীতি, সরকারের নীতি, আইনকানুন, এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থাকতে হবে।’

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘আগামীতে জনপ্রতিনিধিরা ঐকমত্য যাতে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকে, তার একটা বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের শ্রমিক, কৃষক, কর্মচারী, খেটে খাওয়া মানুষের দাবিদাওয়া শোনার ক্ষেত্রে সরকারের সময় থাকে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জনগণের দাবি মানতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ এবং সঞ্চালনা করেন জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাকিবুল ইসলাম। এতে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম, বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা রহমান প্রমুখ।

এ সময় নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে দেওয়ান আবদুর রশিদকে সমন্বয়কারী, আরিফুর রহমানকে নির্বাহী সমন্বয়কারী, মারুফ আহমেদকে সহনির্বাহী সমন্বয়কারী ও রুবিনা ইয়াসমিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্যের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলন শেষে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় কম ট র সমন বয়ক র কম ট র স বর শ ল র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কত বেতন পান ভারতের বিশ্বকাপজয়ী নারী ক্রিকেটাররা, কোহলিদের সঙ্গে কত ব্যবধান

ভারতের নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা এখন দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর গোটা ভারত মেতে উঠেছে উৎসবে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে এসেছে এক ঐতিহাসিক জয়, আইসিসির মেয়েদের টুর্নামেন্টে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত।

গত রোববার নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে ভারত লিখেছে নতুন ইতিহাস। এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়, দেশটির কোটি নারীর জন্য এক অনুপ্রেরণা হিসেবেও মনে করা হচ্ছে।

এই আলোচনার ভেতরেই উঠছে আরেকটা প্রশ্ন—নারী ক্রিকেটারদের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) যে বেতনকাঠামো, সেটি কেমন? পুরুষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নারী ক্রিকেটারদের বেতনের পার্থক্যই বা কতটা?

আরও পড়ুনজাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি০৩ নভেম্বর ২০২৫

বিসিসিআই ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ প্রকাশ করেছে অ্যানুয়াল প্লেয়ার রিটেইনারশিপ ২০২৪-২৫ (টিম ইন্ডিয়া সিনিয়র উইমেন) তালিকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নারী ক্রিকেটারদের বেতন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে—‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণিতে।

ভারত নারী ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা হারমানপ্রীত কৌর (বাঁয়ে) ও স্মৃতি মান্ধানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ