জামালপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ১
Published: 21st, September 2025 GMT
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তাড়িয়াপাড়া শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দির ও দুর্গা মন্দিরের সাতটি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের তাড়িয়াপাড়ার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে হাবিবুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। হাবিবুর রহমান পৌরসভার শিমলাপল্লী গ্রামের সোহরাব মিস্ত্রির ছেলে।
পুলিশ ও মন্দির কমিটি জানায়, তাড়িয়াপাড়া মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্যে তৈরি করা হয়েছিল প্রতিমা। পূজার সকল আয়োজন শেষ করে প্রতিমা নির্মাণ শিল্পীদের বিদায় দেয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ মন্দিরের একজন ঢুকে সাতটি প্রতিমার মাথাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে দিয়ে চলে যায়। রবিবার সকালে মন্দিরে ঢুকে সকল প্রতিমা ভাঙা দেখতে পান মন্দির কমিটির লোকজন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
তাড়িয়াপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি গয়েশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক সীতল চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘‘রবিবার শুভ মহালয়া দিনে মন্দিরে এসে সকল প্রতিমা ভাঙা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ দেখে একজনকে গ্রেপ্তার করে।”
এ ব্যাপারে জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল-মামুন জানান, প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এই ঘটনার পিছনে কারো কোন ইন্ধন আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা/শোভন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ব ব র রহম ন মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে