অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল নেদারল্যান্ডস, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
Published: 21st, September 2025 GMT
অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্থির হয়ে উঠেছে নেদারল্যান্ডস। রাজধানী দ্য হেগে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন অভিবাসনবিরোধী দাবিতে। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও পানিকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দ্য হেগে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পাথর-বোতল ছোড়েন। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয় এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। অভিবাসন নীতি কঠোর করার দাবিতে ডানপন্থি কর্মীদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন:
ভূমধ্যসাগরে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু
মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিযান, আটক ৭ জন
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কোফ বিক্ষোভে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “নির্লজ্জ সহিংসতার এমন দৃশ্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
নেদারল্যান্ডসের পূর্ববর্তী নির্বাচনে জয়ী এবং গত ২৯ অক্টোবরের ভোটের আগে জনমত জরিপে নেতৃত্ব ধরে রাখা ডানপন্থি নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্সকে বিক্ষোভে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এতে যোগ দেননি। উইল্ডার্স এই সহিংসতাকে ‘মূর্খদের কাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বিক্ষোভটি আয়োজন করেছিলেন এক ডানপন্থি কর্মী, যিনি অভিবাসন নীতি কঠোর করার ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। বিক্ষোভকারীরা ডাচ পতাকা ও উগ্র-ডানপন্থি সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এসময় বাম দলের প্রধান কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, উইল্ডার্স তার কট্টর-ডানপন্থি পিভিভি দলকে শাসক জোট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গত জুনে নেদারল্যান্ডস সরকার ভেঙে পড়ে। অভিবাসন ইস্যুতেই এ বিরোধ সৃষ্টি হয়। উইল্ডার্স অতিরিক্ত ১০টি আশ্রয়বিরোধী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন- যার মধ্যে আশ্রয়ের আবেদন স্থগিত রাখা, নতুন রিসেপশন সেন্টার তৈরি বন্ধ করা এবং পরিবার পুনর্মিলন সীমিত করাও ছিল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ ব স ড নপন থ
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় নির্দেশনা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর : রাজিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করে সাধারণ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ থেকে শুরু করে মধ্য আলীগঞ্জ দিয়ে ফতুল্লা রেল স্টেশন হয়ে বিভিন্ন বাজার, পাড়া-মহল্লা ও জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় তিনি জনগণের কাছে বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দলের ঘোষিত রূপরেখা তুলে ধরেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
এসময়ে বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, হ্যাঁ না এর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক অগণতান্ত্রিক ভোট কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। হ্যাঁ -না ভোট দিয়ে বিএনপিকে একটি কর্ণারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরুদ্ধে।
বিএনপি এদেশে মানুষের কথা বলে গণতন্ত্রের কথা বলে। বাংলাদেশ একটি উদ্বার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক সেটাই চায় বিএনপি। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতান্তের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুতরাং গণতন্ত্রের কথা বলে বিএনপির সাথে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল পেড়ে উঠা সম্ভব না।
বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা তা পূরণের জন্য বিএনপির কাজ করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অতীতেও তো যেমন ছিল ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের চারটি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আমরা তাদেরকে সুস্বাগতম জানাই। আমাদের দলে দর্শনই হচ্ছে ব্যক্তিত্বে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সে আস্থা রয়েছে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সাহেবের প্রতি। উনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্তা রয়েছে উনি যেই সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে নিবেন।
উনি দল কিনবা ব্যক্তির স্বার্থ চিন্তা করে নিবে না এই বিশ্বাস আমাদের পুরোপুরি আছে। অতএব উনি যার হাতে ধানের শীষ দিবে আমরা অন্ধের মতন তার পক্ষে কাজ করব। আমার কাছে ব্যক্তি কিংবা প্রার্থী সেটা বিষয় না আমার তাকে দিয়েছে আমি অন্ধের মতন তার পক্ষে কাজ করব।
শুধু আমি না বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে একইভাবে সকল নেতাকর্মী যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের নেতাকর্মী তারা সবাই তারেক রহমানের নেতৃত্বের উপর আস্থাশীল তারা অন্ধের মতো দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। এখানে দ্বিতীয় কোন কথা নেই আর কথার কোন সুযোগও নাই।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে যদি দলীয় প্রার্থী না দেওয়া হয় তাহলে দলগতভাবে জোটভুক্ত হয়ে যে প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব। এবং দলীয় যে নির্দেশনা দিবে তা আমরা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর।
আর নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে যেটা আমার দল ও তারেক রহমান দিবে সেটাই আমার রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার এবং দলের প্রতিটি আমাদের দায়িত্ব সেটাই কাজ করতে হবে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা, ফতুল্লা, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।