‘দুপুর ঠাকুরপো’ সিরিজে বৌদি রূপে পর্দায় হাজির রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। এবার ‘প্রোমোটার বৌদি’ রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন বিতর্কিত এই অভিনেত্রী। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন শৌর্য দেব।  

কয়েক দিন আগে সিনেমাটির একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। তারপর থেকে আলোচনায় রয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমা থেকেই তো আমার শুরু। এখনো শহরতলিতে গেলে ‘প্রিয়তমা’, ‘সাথীহারা’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা করেন দর্শক। সেই স্বাদই এই সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। দুর্দান্ত ভাসান নাচও আছে। প্রোমোটার ভিলেনও রয়েছে এখানে।” 

আরো পড়ুন:

‘জেঠু মার্কা লোকজন এসে আমাকে বুড়ি বলবে’

আমি আফরান নিশোর ফ্যান: স্বস্তিকা

‘প্রোমোটার বৌদি’ সিনেমার গল্পে দুই সন্তানের জননী স্বস্তিকা। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে তার সংসার। ফলে পাড়ার সবাই তাকে ‘বৌদি’ বলেই ডাকেন। এ স্বস্তিকা বলেন, “আমার পাড়াতেও দেখেছি, মাকে সবাই বৌদি বলেই ডাকত। এখন সমাজমাধ্যমের দৌলতে ‘বৌদি’ শব্দটা কুরুচিকর ইঙ্গিতে ব্যবহার করা হয়। আদপে তো এটা তা নয়! বৌদি শব্দটার মধ্যে পারিবারিক, মিষ্টি, আপন ব্যাপার আছে। এখানেও আমার চরিত্রটা ও রকমই। পেশায় প্রোমোটার, তাই নাম প্রোমোটার বৌদি।” 

সিনেমাটিতে বাণিজ্যিক সব উপাদান রয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারেরও অনেক সমস্যা থাকে। এই শহরে নিম্নবিত্তের সংখ্যাই বেশি। তাদের জীবনে অনেক সমস্যা আছে। তবে এই কাহিনিতে বাণিজ্যিক ঘরানার গল্পের যা যা উপাদান প্রয়োজন সব আছে।” 

কলকাতার বিভিন্ন স্থানে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। পরিচালক শৌর্যও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। তার এটি প্রথম কাজ। ২০২৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে স্বস্তিকার সিনেমাটি। নায়িকা বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি এমন একটা তারিখ পাওয়া গিয়েছে, যেদিন বড় বাংলা, বড় হিন্দি সিনেমা মুক্তি পাবে না। অনেকেই এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন। আমাকে এসে বলেন, বড় সংস্থার সিনেমা মুক্তি পাবে। তখন ভাবি, আর কবে বড় হব? কলকাতা এবং বাইরে সমান তালে কাজ করছি। এখনো যদি ভাবতে হয়, তা হলে সারাক্ষণ পাপারাজ্জি নিয়ে ঘুরতে হবে। আমি নিজের কাজটা মন দিয়ে করতে চাই।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বস ত ক ম খ র জ চলচ চ ত র স বস ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।

পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিএমইএর নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, রশিদ আহমেদ হোসাইনী প্রমুখ। অন্যদিকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কিয়াও চেন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রুইফেং ঝাং ও অর্থনীতিবিদ আয়া সাইদ।

উভয় পক্ষের আলোচনায় পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রভাব, শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজিত পণ্য বৈচিত্র্যকরণের কৌশল গুরুত্ব পায়। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব, ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয় কমানো ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য করণীয় বিষয়েও আলোচনা হয়।

আইএমএফের প্রতিনিধিদের কাছে জাতীয় অর্থনীতিতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানসহ শিল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিজিএমইএর নেতারা। তাঁরা শিল্পের কৌশলগত রূপকল্প তুলে ধরে জানান, পোশাকশিল্প বর্তমানে শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে কৃত্রিম তন্তু ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলভিত্তিক পোশাক তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ নেতারা জানান, তাঁদের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার উন্নয়ন, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্কসুবিধা বজায় রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ), যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই করার বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ