একহারা গড়ন হলেও উইংয়ে বেশ শক্তপোক্ত উসমান দেম্বেলে। সহজে কেউ টলাতে পারে না। তবে সেটা বাইরের অংশ। মনে মনে দেম্বেলে বেশ নরম। আবেগে টলে যান।

সাফল্যের সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে শেষ ধাপে দেম্বেলের সামনে ছিল বিজয়মঞ্চের সিঁড়ি। সেখান থেকে কিংবদন্তিদের ডাক পাওয়ার আগেই অতিথিদের মাঝে রব উঠেছিল, ‘উসমান! উসমান! উসমান!’ সেই ভিড়ে অন্তত একজন যে চুপচাপ ছিলেন তা নিশ্চিত। লামিনে ইয়ামাল!

দেম্বেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। মঞ্চ থেকে কিছুক্ষণ আগেই ঘোষণা করা হয়েছে লড়াইটা ৩০ জন থেকে নেমে এসেছে তাঁদের দুজনে মাঝে।

ফয়সালা ঘোষণায় মঞ্চে ডাক পড়েছে পিএসজিতেই খেলা এক কিংবদন্তির, যার বাড়িতেও আছে এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি--ব্যালন ডি’অর ট্রফি! ভদ্রলোকের নাম রোনালদিনিও। মঞ্চে দাঁড়িয়ে খাম খুলে তিনি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগেই দর্শকসারির একাংশ তাদের রায় জানিয়ে দেন। উসমান!

সেটা হবে না কেন? বলতে পারেন, ‘দেশের ছেলে’ বলে কথা! ব্যালন ডি’অর রাতের রঙ্গমঞ্চটা প্যারিসের থিয়াত্র দ্যু শাতলে। দেম্বেলে একে তো ফ্রান্সের ছেলে, তারওপর প্যারিসেরই ক্লাব পিএসজির তারকা। গত মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল ও ১৬টি গোল বানিয়ে পিএসজিকে জিতিয়েছেন ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’। প্যারিস যে ট্রফিটার জন্য মাথা কুটে মরেছে, সেই ইউরোপসেরার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে করেছেন ৮ গোল। লিগ জয়েও যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা। রোনালদিনিও এক শব্দে ‘দেম্বেলে’ নামটি বলার আগেই বিজয়ী কে, প্যারিস যেন তা জানত!

কোপা ট্রফি জেতেন ইয়ামাল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী

হত্যাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেয়েছেন কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

জামিন চেয়ে আইভির করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ (রুল অ্যাবসলিউট) রায় দেন।

আদালতে আইভির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক পাঁচ মামলায় রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগে তিনটি ও মারাত্মক জখমের অভিযোগ করা দুটি মামলা রয়েছে।

আইভির আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাগুলোতে তাঁর মক্কেলের (আইভি) বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি একজন নারী। তিনি ছয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। এসব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়।

চলতি বছরের ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আইভী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ পৃথক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০০৩-২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন আইভী। পরে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে টানা জয়ী হন তিনি। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলাসহ পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার হন আইভী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ