কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান
Published: 23rd, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশাসন। বৈঠকে তাঁদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় যেন সচল থাকে, সে জন্য আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের কমিটির সঙ্গে বসে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীন স্যার আলোচনায় বসেছিলেন। প্রশাসন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা সমিতিতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাব।’
সভায় সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল হওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে গত শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনার পর রোববার জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও কর্মকর্তারা পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করেন। পরদিন সোমবার থেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠক করে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র আহ ব ন কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ অবলোপনের সময় সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
খেলাপি ঋণ অবলোপনে সময়ের বাধা-নিষেধ তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত (ব্যাড এন্ড লস) হলে এবং এ ঋণ ফেরত আসবে না বলে মনে হলেই তা অবলোপন করতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। আগে এর জন্য কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগত।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরো পড়ুন:
মূল্যস্ফীতি বড় চ্যালেঞ্জ: সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রাইজবন্ডসহ সব সেবা ২০ নভেম্বর থেকে বন্ধ
অবলোপন ঋণ হলো সেইসব খেলাপি ঋণ, যা দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করা যায়নি এবং যা আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন (ব্যালান্স শিট) থেকে এই ঋণগুলো সরিয়ে আলাদা লেজারে সংরক্ষণ করে, যাকে 'ঋণ অবলোপন' বা 'রাইট অফ' বলা হয়। যদিও এটি ব্যাংক কর্তৃক আর্থিক হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হয়, কিন্তু ঋণগ্রহীতার ওপর ব্যাংকের দাবি এবং ঋণ আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত এবং ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ এরূপ ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে। তবে, কালানুক্রমিকভাবে অধিকতর পুরনো মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঋণ হিসাব অবলোপনের কমপক্ষে ১০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে বিষয়টি জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের ২০২৪ সালের এ সম্পর্কিত সার্কুলারে বলা হয়, “যে সকল ঋণ হিসাব একাধিক্রমে দুই বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে, সে সকল ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে।’’
ঢাকা/নাজমুল/বকুল