বারবার চোটে পড়া তো ছিলই, সমালোচিত ছিলেন মাঠের বাইরে কর্মকাণ্ড নিয়েও। একসময় হুমকিতে পড়েছিল ক্যারিয়ারও। বার্সেলোনায় ব্যর্থ হয়ে হতাশা নিয়ে শেষ পর্যন্ত পাড়ি জমান পিএসজিতে। আর নিজ দেশে ফিরতেই যেন বদলে গেল উসমান দেম্বেলের ভাগ্য। ২০২৪-২৫ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এখন তিনি জিতে নিলেন ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ ট্রফি ব্যালন ডি’অরও।

গত মৌসুম শেষ হওয়ার পর দেম্বেলের ব্যালন ডি’অর জয় একরকম অনুমেয়ই ছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়সহ পিএসজির ট্রেবল জয়ে এমবাপ্পের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। গোল করায়, করানোয় এবং দলকে উজ্জীবিত রাখায় সমান ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

যার ফলস্বরূপ মিলেছে বর্ষসেরার এই পুরস্কার। পুরস্কার পাওয়ার পর দেম্বেলেকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সবাই। ব্যালন ডি’অরের রাজা ও দেম্বেলের সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনকান্নায় ব্যালন ডি’অর বরণ দেম্বেলের, বোনমাতির তিনে তিন১৩ ঘণ্টা আগে

গতকাল রাতে ব্যালন ডি’অর জয়ের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই ছবি পোস্ট করে দেম্বেলে লিখেছেন, ‘অনেক আনন্দ, গর্ব আর আবেগে মন ভরে আছে। একটি স্বপ্ন সত্যি হলো। এই যাত্রাপথে যারা সব সময় আমাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ দেম্বেলের এই পোস্টের মন্তব্যে মেসি লিখেছেন, ‘দারুণ! অভিনন্দন, আমি তোমার জন্য খুব খুশি। তুমি এটা পাওয়ার যোগ্য।’

দেম্বেলের পোস্টে মেসির মন্তব্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী

হত্যাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেয়েছেন কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

জামিন চেয়ে আইভির করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ (রুল অ্যাবসলিউট) রায় দেন।

আদালতে আইভির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক পাঁচ মামলায় রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগে তিনটি ও মারাত্মক জখমের অভিযোগ করা দুটি মামলা রয়েছে।

আইভির আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাগুলোতে তাঁর মক্কেলের (আইভি) বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি একজন নারী। তিনি ছয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। এসব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়।

চলতি বছরের ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আইভী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ পৃথক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০০৩-২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন আইভী। পরে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে টানা জয়ী হন তিনি। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলাসহ পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার হন আইভী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ