রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশাসন। বৈঠকে তাদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন পেছানোয় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় যেন সচল থাকে। সেজন্য আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।”

তিনি বলেন, “তারা প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তারা তাদের কমিটির সঙ্গে বসে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।”

অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, “উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীন স্যার আলোচনায় বসেছিলেন। প্রশাসন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা সমিতিতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাব।”

এ সময় সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র র আহ ব ন কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।

এ সময় সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্যসচিব জামায়াত নেতা শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোজাফফর রহমানসহ কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবীর মানুষ অংশ নেন।

এম এ সালাম বলেন, ‘আমরা আজকে গণস্বাক্ষর শুরু করছি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত গণস্বাক্ষর চলবে। স্বাক্ষর করার জন্য আমরা বাঁধাই করা বই তৈরি করেছি। এসব বই প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় পাঠানো হবে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পাশাপাশি বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও চলবে।’

গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নেন বাগেরহাটবাসী। এরপরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের ওই আসনবিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে করা হয়েছে বলে দাবি সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীদের।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। তার আগে দীর্ঘদিন ধরে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ