কেমন ব্যাকআপ আইফোন এয়ারের ব্যাটারিতে, পরীক্ষায় যা পাওয়া গেল
Published: 23rd, September 2025 GMT
অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে ব্যবহারকারীরা ফোনগুলোর ব্যবহার অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন। নতুন ১৭ প্রো মডেলের ক্যামেরা নিয়ে নানা আলোচনার পাশাপাশি বেশি আলোচিত হচ্ছে আইফোন এয়ার। এটিই এখন পর্যন্ত অ্যাপলের সবচেয়ে পাতলা আইফোন। তবে সরু নকশার কারণে এ মডেলে কিছু ছাড় দিতে হয়েছে। ছোট ব্যাটারি, কম ক্যামেরা এবং আগের আইফোন প্লাস মডেলের তুলনায় বেশি দাম। সব মিলিয়ে আইফোন এয়ার নিয়ে শুরু থেকেই কৌতূহল ছিল।
আইফোন এয়ারে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৩১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। এখানে সিলিকন কার্বন প্রযুক্তি নেই, যা তুলনামূলক পাতলা ব্যাটারিতেও বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম। তবে ফোনটির ভেতরের উপাদানগুলো ওপরের অংশে গুছিয়ে বসানো হয়েছে, যা প্রকৌশল নকশার অভিনবত্বের উদাহরণ। কিন্তু মূল প্রশ্ন থেকেই যায়। একবার চার্জে ফোনটি কি পুরো দিন চলতে পারবে?
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টমস গাইড জানিয়েছে, পরীক্ষায় আইফোন এয়ার প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছে। ব্যাটারি ব্যাকআপে এটি প্রায় আইফোন ১৭-এর সমান। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফোনটিতে গড়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা স্ক্রিন অনটাইম পাওয়া গেছে। টানা ওয়েব ব্রাউজিংয়ে এটি টিকেছে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। আইফোন এয়ারের ব্যাটারি আশঙ্কার মতো খারাপ নয়। এর স্থায়িত্ব কিছু ক্ষেত্রে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫ এজ মডেলের সঙ্গে তুলনীয়। তবে ফলাফল পুরোপুরি সন্তোষজনকও নয়। কারণ, এ বছর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স টানা আরও ৬ ঘণ্টা বেশি ব্যবহার করা যায়। ফলে আইফোন এয়ার ব্যবহারকারীদের দিনের মাঝপথে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে বাইরে থাকলে।
৯ সেপ্টেম্বর অ্যাপলের বার্ষিক সেপ্টেম্বর আয়োজনে নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ উন্মোচন করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রি-অর্ডার শুরু হয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিজের ফোনগুলো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রণ ও দাগ: কেন হয়, চিকিৎসা ও করণীয় নিয়ে পরামর্শ
ব্রণের জন্য আধুনিক চিকিৎসা যেমন লেজার বা কেমিক্যাল পিলিং খুবই কার্যকর। এগুলোর মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্রণের দাগ কমানো সম্ভব। তবে চিকিৎসা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এবং সঠিক জায়গা থেকে নিতে হবে। কারণ, যত্রতত্র লেজার সেন্টার বা পারলারে ভুল চিকিৎসা ডেকে আনতে পারে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি।
‘সুস্থ ত্বকের গল্প’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় কথাগুলো বলেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিস্ট এবং ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির। প্রথম আলো ডটকম ও এসকেএফ ডার্মাটোলজির যৌথ উদ্যোগে এই অনলাইন আলোচনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার সুরাইয়া আহমেদ।
ব্রণের সমস্যা নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় থাকেন এবং এর চিকিৎসা নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা ও সতর্কতার অভাব। তাই আলোচনার এ পর্বে ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন ডা. শারমিন কবির। পর্বটি গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলোজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।
ব্যাকটেরিয়াল নাকি ফাঙ্গাল ইনফেকশন?
আলোচনার শুরুতেই উপস্থাপক জানতে চান, ব্রণ আসলে কী ধরনের ইনফেকশন? এটি কি ব্যাকটেরিয়াল নাকি ফাঙ্গাল ইনফেকশন?
উত্তরে ডা. শারমিন কবির বলেন, ব্রণ মূলত একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যা প্রোপ্রিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়। তবে আজকাল ‘ফাঙ্গাল একনি’ বলেও একধরনের ব্রণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস উভয় থেকেই হতে পারে। এ ছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের প্রভাবে ত্বকের নিচে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি বড় হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়ে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
ব্রণ কার হয়, কেন হয়
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কাদের ব্রণ বেশি হয় এবং কেন হয়? জানতে চাইলে, অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, ‘ব্রণ ছেলে ও মেয়ে সবারই হয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মেয়েদের মধ্যে কিছুটা বেশি দেখা যায়। বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন অতিমাত্রায় নিঃসৃত হওয়ার কারণে এই সময়ে ব্রণ বেশি হয়। তবে এটি বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মধ্য বয়স পর্যন্ত যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া খুব গরম ও আর্দ্র। এই আবহাওয়ার সঙ্গে কি ব্রণের কোনো সম্পর্ক রয়েছে? এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, আবহাওয়ার সঙ্গে ব্রণের সম্পর্ক আছে। আমাদের দেশে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন একটি ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপক জানতে চান, তৈলাক্ত ত্বকে কি ব্রণ বেশি হয়?
উত্তরে অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ, প্রোপ্রিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস তৈলাক্ত ত্বকে বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে ব্রণ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটো কারণেই হতে পারে। বাহ্যিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্বকে বিভিন্ন রং ফরসাকারী ক্রিম এবং স্টেরয়েডজাতীয় ক্রিমের ব্যবহার। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন রাত জেগে ফোন চালানো বা জাঙ্ক ফুড খাওয়াও ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। আর অভ্যন্তরীণ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হরমোনজনিত সমস্যা, বিশেষ করে মেয়েদের পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম)। এ ছাড়া হাইপারথাইরয়েডিজম, কুশিং সিনড্রোম, অ্যাডেনোমার মতো কিছু রোগের কারণেও ব্রণ হতে পারে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ব্রণের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে।
অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির আরও বলেন, সবার ত্বকের ধরন আলাদা। অনেক সময় দেখা যায় আমরা না বুঝেই বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা অনুসরণ করে থাকি কিংবা ব্রণ হলে হাত দিয়ে খোঁচাই, যা মোটেও ঠিক নয়। এতে ব্রণ সেরে যাওয়ার পর যে দাগ বা স্কার হয়, যেগুলো সহজে যায় না।
ত্বক সুস্থ রাখতে ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির