বন্দরে ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 27th, September 2025 GMT
বন্দরে বিশেষ অভিযানে নারী মাদক কারবারিসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো সোনারগাঁ থানার উলুকান্দী দাউদিয়াগাও এলাকার বজলু মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন (৪০) রুপগঞ্জ থানার শনের টেক এলাকার মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৭) ও বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার আলতাব মিয়ার বাড়ী ভাড়াটিয়া মৃত মফিজ উদ্দিন ওরফে মোস্তফা মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন (৫০) ও বন্দর থানার দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার হারুন মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া খোকন মিয়ার স্ত্রী শিউলী বানু (৪৫)।
বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৪ মাদক কারবারি বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ৩৪(৯)২৫ ও ৩৫(৯)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৃথক মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলা কাইকারটেক ব্রীজ সংলগ্ন হাজী সাহেবের মোড়ে পাঁকা রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও একই থানার দক্ষিন লক্ষনখোলাস্থ হারুন মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া বাড়িতে তল্লশী চালিয়ে গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দরে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও গাঁজাসহ এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত রক ত এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ