এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে দ্বিগুণ বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। প্রকার ভেদে পাইকারি বাজারে ১২০ থেকে ১৩০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে। কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩০ টাকা। 

দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম বলছেন, ব্যবসায়ীরা। এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হিলি সবজি বাজার ঘুরে জানা যায়, দুর্গাপূজার বন্ধের পূর্বে হিলি বন্দরে কাঁচামরিচের আমদানি স্বাভাবিক ছিল। দামও ছিল স্বাভাবিক। পাইকারি বিক্রি হয়েছিল প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি হিসেবে, তা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি দরে। 

বর্তমান দাম বৃদ্ধি পেয়ে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি হিসেবে। 

ক্রেতা লুৎফর রহমান বলেন, “গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ পাইকারি কিনলাম ১৩০ টাকা কেজি, আজ তা ২৬০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের অবস্থা তো খারাপ হয়ে যাবে।”

ক্রেতা আব্দুল আজিজ বলেন, “মাস দুই এক আগে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি হিসেবে কাঁচামরিচ কিনেছিলাম, সেই মরিচ আজ ২৮০ টাকা কেজি। এটা কেমন ব্যাপার। আমাদের দেশের অবস্থাই এমন।”

হিলি সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, “কয়েকদিনের মধ্যে কাঁচামরিচের দাম হুহু করে বেড়ে গেল। ২৬০ টাকা পাইকারি কিনে তা ২৮০ টাকা খুচরা বিক্রি করছি।”

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ পাইকারি ব্যবসায়ী বিপ্লব শেখ বলেন, “পূজার কারণে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে বাজারে মরিচ সঙ্কট, সেজন্য দামও লাগামহীন বাড়ছে। গত সপ্তাহে আমরা ১৩০ টাকা পাইকারি বিক্রি করছি। আজ তা ২৬০ টাকা পাইকারি বিক্রি করছি। বর্তমান আমরা এসব কাঁচামরিচ রাজশাহী অঞ্চল থেকে আমদানি করছি। তবে হিলি বন্দরে কাঁচামরিচ আমদানি হলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৩০ ট ক ২৬০ ট ক আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রকর্মটি বিক্রি হলো ২,৮৯১ কোটি টাকায়

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্মের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। প্রথমে রয়েছে জগদ্বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ‘সালভাতর মুন্দি’। যিশুখ্রিষ্টকে নিয়ে আঁকা চিত্রকর্মটি ২০১৭ সালে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার আঁকা হয় ১৯১৪ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে। অস্ট্রিয়ার প্রভাবশালী ইহুদি পরিবারের মেয়ে এলিজাবেথ লেডেরারের বাবা অগাস্ট লেডেরার ছিলেন ক্লিমটের বড় পৃষ্ঠপোষক। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়া দখলের সময় চিত্রকর্মটি জব্দ করে নাৎসি বাহিনী। আশির দশকে সেটি আবার চিত্রকর্মের বাজারে আসে। তখন থেকেই এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় ছিল।

গুস্তাফ ক্লিমট

সম্পর্কিত নিবন্ধ