ছুটি শেষে সচল সোনামসজিদ স্থলবন্দর
Published: 4th, October 2025 GMT
শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আবারো সচল হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
একটানা আটদিনের ছুটি শেষে শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়। তবে স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক।
আরো পড়ুন:
আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও বাড়াতে বললেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার
৯ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি
এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার সাব্বির আহম্মেদ জিসান জানান, ছুটি শেষে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারতীয় পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ৩০টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য বোঝায় ট্রাক ভারতে গেছে।
বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম বলেন, “দুই দেশের ব্যবসায়ীদের পারস্পারিক সিদ্ধান্তে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটানা আটদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল সোনামসজিদ স্থলবন্দরের। তবে ছুটি শেষে শনিবার পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে। দুই দেশের পণ্যভর্তি ট্রাক যাওয়া-আসার মধ্যে দিয়ে বন্দরে শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।”
স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক বলেও নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম।
ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ অবলোপনের সময় সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
খেলাপি ঋণ অবলোপনে সময়ের বাধা-নিষেধ তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত (ব্যাড এন্ড লস) হলে এবং এ ঋণ ফেরত আসবে না বলে মনে হলেই তা অবলোপন করতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। আগে এর জন্য কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগত।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরো পড়ুন:
মূল্যস্ফীতি বড় চ্যালেঞ্জ: সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রাইজবন্ডসহ সব সেবা ২০ নভেম্বর থেকে বন্ধ
অবলোপন ঋণ হলো সেইসব খেলাপি ঋণ, যা দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করা যায়নি এবং যা আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন (ব্যালান্স শিট) থেকে এই ঋণগুলো সরিয়ে আলাদা লেজারে সংরক্ষণ করে, যাকে 'ঋণ অবলোপন' বা 'রাইট অফ' বলা হয়। যদিও এটি ব্যাংক কর্তৃক আর্থিক হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হয়, কিন্তু ঋণগ্রহীতার ওপর ব্যাংকের দাবি এবং ঋণ আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত এবং ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ এরূপ ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে। তবে, কালানুক্রমিকভাবে অধিকতর পুরনো মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঋণ হিসাব অবলোপনের কমপক্ষে ১০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে বিষয়টি জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের ২০২৪ সালের এ সম্পর্কিত সার্কুলারে বলা হয়, “যে সকল ঋণ হিসাব একাধিক্রমে দুই বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে, সে সকল ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে।’’
ঢাকা/নাজমুল/বকুল