প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে অবস্থিত গুগল এশিয়া প্যাসিফিকের সদর দপ্তরে গুগল ও ইউটিউবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে।

প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় গুগল নিউজ ইনিশিয়েটিভ টিমের সঙ্গে। এ সময় গুগল নিউজ পার্টনারশিপ প্রকল্পের প্রতিনিধি আদিল ফারহান; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন এবং সহযোগী অধ্যাপক আবদুল কাবিল খান উপস্থিত ছিলেন।

দুই পক্ষের আলোচনায় গুগল নিউজের পার্টনারশিপ প্রকল্পের সঙ্গে সেমিনার, ইন্টার্নশিপ ও মাস্টারক্লাস আয়োজনের সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জেএমসি প্রতিনিধিদল উল্লেখ করে, তাদের বিভাগ ইতিমধ্যে পাঠ্যসূচিতে গুগলের সুনির্দিষ্ট এআই টুলস ও ডিজিটাল সাংবাদিকতা–সংশ্লিষ্ট গুগলের নানা রিসোর্স যুক্ত করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত পরিবর্তনশীল গণমাধ্যমের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে আফতাব হোসেন বলেন, ‘গণমাধ্যম ও প্রযুক্তির এই সন্ধিক্ষণে গুগল নিউজ ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমাদের কোর্স কারিকুলামে এআই টুলের একীকরণ এটাই প্রমাণ করে যে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর।’

এরপর প্রতিনিধিদল ইউটিউবের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করে। বৈঠকে গুগল এশিয়ার প্যাসিফিক হেডকোয়ার্টারের ইউটিউব স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রতিনিধি আবু সালেহ উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষ তরুণ কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ইনকিউবেশন প্রকল্প, কমিউনিটি গাইডলাইনস ও ডিজিটাল সুরক্ষার রিসোর্সগুলোকে মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দিতে একটি যৌথ সহযোগিতামূলক উদ্যোগে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে।

গুগলের সঙ্গে অংশীদারত্ব প্রসঙ্গে আদিল ফারহান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক সাংবাদিকতায় তথ্য যাচাই ও এআই টুলসের মতো বিষয়গুলোতে সচেতনতা বাড়ানোয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে গুগলের যৌথ উদ্যোগ একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা আশা করছি।’

উল্লেখ্য, গুগলের উদ্যোগে ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে শুরু হওয়া ‘ইনফরমেশন ক্রেডিবিলিটি অ্যান্ড এআই লিটারেসি ট্রেনিং’ কার্যক্রমে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইউন ভ র স ট র প র টন র সহয গ ত আম দ র গ গল র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান

একটি ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীর ছয় সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশ খুজেস্তানে সশস্ত্র হামলা চালানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিচার বিভাগ নিজেদের ‘মিজান ওয়েবসাইটে’ জানায়, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর খুজেস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা (বাহিনীর সদস্যদের) লক্ষ্য করে কয়েক বছরে একাধিক সশস্ত্র আক্রমণ ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এসব ঘটনায় আজ ভোরে ছয়জন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’

যাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাঁদের পরিচয়, গ্রেপ্তার ও রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তবে মিজানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা জড়িত ছিলেন। নিহত চারজনের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা, বাকি দুজন ‘বাসিজ’ আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

ইরান যেসব গোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী বলে তকমা দেয়, সেগুলোর সঙ্গে সাধারণত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সম্পর্ক থাকে বলে দাবি করা হয়।

আজ আলাদাভাবে সামান মোহাম্মাদি নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করেছে ইরানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে মোহারেবেহ বা ‘খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’, সন্ত্রাসী এবং তাকফিরি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, তাকফির বলতে বোঝায়, যাঁরা অন্য মুসলমানকে কাফের বা নাস্তিক ঘোষণা দেন।

আজ এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এক সপ্তাহের কম সময় আগে আরেক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকরের কথা জানিয়েছিল ইরান। ওই ব্যক্তিকে ইসরায়েলের শীর্ষ গুপ্তচরের একজন বলে দাবি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনইসরায়েলের এক শীর্ষ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ইরানের২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতে, ইরানের বর্তমান সরকার প্রধানত ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। দেশটিতে চীনের পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ