এক রাতের বৃষ্টিতে ভারতের দার্জিলিংয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মিরিকে লোহার সেতু ভেঙে পড়ে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুখিয়ায় মারা গিয়েছেন চার জন। একাধিক রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সিকিম ও কালিম্পঙের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে বিপর্যয় ঘটেছে। তিস্তার পানি বেড়ে উঠে এসেছে জাতীয় সড়কে। তিস্তাবাজারের কাছে ২৯ মাইল ভালুখোলায় তিস্তার পানি উঠে বন্ধ হয়ে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাতে মিরিক এবং দুধিয়ার মাঝের লোহার সেতুর একাংশ বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে। তার ফলে শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের যোগাযোগ বন্ধ। এমনকি, দার্জিলিং শহরের সঙ্গেও যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে, যা বেশ বিরল।

মিরিক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কার্শিয়াং) বলেন, “মিরিকে পাঁচটি মৃতদেহ ইতিমধ্যে আমরা উদ্ধার করেছি। দু’টি দেহ আগে উদ্ধার করা হয়েছে। সুখিয়ায় আরও চার জনের মৃত্যুর কথা শুনেছি। উদ্ধারকাজ চলছে। তবে আবহাওয়ার কারণে তাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। রোহিণীর রাস্তা পুরো বন্ধ। দিলারামের দিকটাও বন্ধ। মিরিকে যারা আটকে আছেন, তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছি আমরা। বাসিন্দাদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে।”

স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, দিলারামের কাছে রাস্তায় ধস নেমেছে। দার্জিলিংয়ে যাতায়াতের প্রধান সড়ক সেই কারণে অবরুদ্ধ। এ ছাড়া, কালিম্পং ও সিকিমের দিকে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। 

শনিবার রাতের বৃষ্টিতে রোহিণী রোডের অবস্থাও করুণ। রাস্তার একাংশ ধসে নদীর দিকে নেমে গেছে। জিটিএ-র তরফে দুর্যোগ নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রবিবার সকালে। সেখানে বলা হয়েছে, পর্যটকদের জন্য আপাতত রক গার্ডেন এবং টাইগার হিল বন্ধ। দুর্যোগে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ম ত য উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রকর্মটি বিক্রি হলো ২,৮৯১ কোটি টাকায়

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্মের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। প্রথমে রয়েছে জগদ্বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ‘সালভাতর মুন্দি’। যিশুখ্রিষ্টকে নিয়ে আঁকা চিত্রকর্মটি ২০১৭ সালে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার আঁকা হয় ১৯১৪ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে। অস্ট্রিয়ার প্রভাবশালী ইহুদি পরিবারের মেয়ে এলিজাবেথ লেডেরারের বাবা অগাস্ট লেডেরার ছিলেন ক্লিমটের বড় পৃষ্ঠপোষক। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়া দখলের সময় চিত্রকর্মটি জব্দ করে নাৎসি বাহিনী। আশির দশকে সেটি আবার চিত্রকর্মের বাজারে আসে। তখন থেকেই এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় ছিল।

গুস্তাফ ক্লিমট

সম্পর্কিত নিবন্ধ